মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় পুজো ভান্ডানি মন্দিরে
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৮ জুন: মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তির চেকেন্দাভান্ডারি ময়দানে জনসভা সেরে হেলিকপ্টারে ফেরার সময় দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। সেই সময় তাঁর কপ্টাররের জরুরী অবতরণ করা হয় । হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ও কোমড়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় ভান্ডানি মন্দিরে পূজা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, মা ভান্ডানির কৃপায় নেত্রী বড়ো দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এদিন ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ভান্ডানি মন্দিরে গ্ৰাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী সহ তৃণমূল নেতারা ৫০ টা ঢাক নিয়ে মন্দিরে পুজো দেন।উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের মা ভান্ডানীর ওপর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত প্রার্থীদের জয়ের কামনা করেন তারা।
মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর গোটা ভান্ডানি বাজার এলাকায় মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। এদিন প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক মিছিলে পা মেলান। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৪ নং আসনের প্রার্থী মমতা সরকার বৈদ্য, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, ধূপগুড়ি টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইভান দাস, আইএনটিটিইউসি নেতা আলম রহমান সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই এসএসকেএমে চিকিৎসা নিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৫.১০ মিনিট নাগাদ তিনি হাসপাতাল আসেন। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এসে পৌঁছানোর পরে হুইল চেয়ার এগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই উডবার্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। মমতার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন রাজ্যপাল এবং তার সুস্থতা কামনা করেন।
এদিন হাসপাতালে চিকিৎসা ও সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে রিপোর্ট পড়ে শোনান এসএসকেএম-এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ের হাঁটুতে ও কোমরের হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে বড়সড়ো চোট লেগেছে। সেই অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা, কিন্তু তিনি হাসপাতালে থাকতে নারাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাবেন।
No comments:
Post a Comment