তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন! কাঠগড়ায় বিরোধীরা, 'বিজেমূল' খোঁচা সিপিএমের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 30 June 2023

তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন! কাঠগড়ায় বিরোধীরা, 'বিজেমূল' খোঁচা সিপিএমের


তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন! কাঠগড়ায় বিরোধীরা, 'বিজেমূল' খোঁচা সিপিএমের



নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ৩০ জুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের সলপ তেতুলকুলি এলাকায়। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


এদিন গভীর রাতে ডোমজুড়ের তেতুলকুলি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মৌমিতা প্রামাণিকের বাড়িতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি আগে বিজেপি করলেও এখন তৃণমূল কর্মী। মৌমিতা জানিয়েছেন, তিনি সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস করেন। তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের ফেস্টুন ও পতাকা লাগানো ছিল। গতকাল রাতে কে বা কারা তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে যায় দরমার দেওয়াল। তার ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে। বাড়ির দাওয়ায় শুয়ে ছিলেন শাশুড়ি। এরপর পরিবারের সকলে মিলে জল ঢেলে আগুন নেভায়। 


খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডোমজুড় থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। মৌমিতার অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে বিরোধী দলের লোকেরা যুক্ত। তাকে ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা। আজ সকালে মৌমিতার বাড়িতে যান ডোমজুড়ের বিধায়ক এবং হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মৌমিতা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। প্রত্যেকটি মিটিং-মিছিলে যান। শলপ এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের মাটি সরে যাওয়ায় তারা এই কাজ করেছে। তিনি পুলিশকে বলবেন গোটা ঘটনার তদন্ত করতে। 


এদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএম। বিজেপি নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, তার দলের জানা নেই ওই বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কিনা। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শলপ এক নম্বর এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি এগিয়েছিল। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে।' তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এবারে ভোটের আগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে। আর যেগুলোতে লড়াই হচ্ছে সেখানে এই ধরনের গল্প ফেঁদে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করুক এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা।


সিপিএমের হাওড়া জেলা কমিটির সদস্য উত্তম বেরা জানিয়েছেন, তারা এই ধরনের রাজনীতি করেন না। তিনি বলেন, 'কে তৃণমূল আর কে বিজেপি বোঝা মুশকিল। ওদের দুটো দরজা থাকে। একটা দরজা দিয়ে ঢোকা অন্য দরজা দিয়ে বেরোনোর। তাই আমরা ওদের বিজেমূল বলি। আসলে বামপন্থীদের শক্তি কমানোর জন্য মোদী এবং দিদির মধ্যে বোঝাপড়া। আর ওদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্যেই এই ঘটনা। গোটা রাজ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে, সলপও এর ব্যতিক্রম নয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad