'আমরা চোখে দেখে রাখছি', নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুঁশিয়ারি দুই বিধায়কের
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ০১ জুলাই: বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার খয়রাশোল ব্লকের কৃষ্ণপুর-বড়জোড় গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।
এদিন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, "পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের থাকবে, প্রত্যেকটা গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূল নির্বাচিত হবে। তাই যাঁরা এখন দেওয়ালের উপর উঠে আছেন তাদের বলি ভাই খুব সাবধান। এবারে কিন্তু আমরা চোখে দেখে রাখছি। আমাদের কাছে যখন আসবে আর বলবে এই উপকারটি করে দিন। মেয়ের বিয়ে লাগলে আমাদের কাছে আসবেন, বিকাশ রায়চৌধুরী পকেট থেকে ২০০০ টাকা বার করে দিয়ে বলবেন জেলা পরিষদের অনারিয়ামের টাকা থেকে দিয়ে দিলাম তোর মেয়ের বিয়েটা পার কর গা। আর ভোটের সময় হাতে পদ্মফুল নিয়ে ঘুরবে তখন তাদের কিন্তু চোখের সরষে ফুল দেখাতে হবে। এই দায়িত্বটা আপনাদের।"
পাশাপাশি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, "নরেনের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে বলছি খবর আমরা রাখি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে থেকে পাঁচিলে উঠে বসে এদিক-ওদিক করবে তার ফলটা ভোগ করতে হবে। ভোটের পরে বুঝিয়ে দেব তুমি কোথায় থাকো আর তোমার জায়গাটা কোথায়।"
নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আরও বলেন, "অনেক বন্ধু যাঁরা আমাদের দল করেন তাঁরা কিন্তু ঘরে চুপচাপ বসে আছেন। তাঁদেরকে কিন্তু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে যাই, যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে চক্রান্ত করে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন তাঁদের কিন্তু ফল ভালো হবে না। নির্বাচনের পর তাঁদের হিসাব কিন্তু করব।"
তিনি বলেন, "ঝগড়া হতেই পারে। থালাবাসন এক জায়গায় থাকলে ঠনঠনানি লাগতেই পারে কিন্তু তা বলে যখন মরণ বাঁচানোর ব্যাপার, যখন লড়াইয়ের ব্যাপার, গ্রামের মানুষের অধিকারের লড়াই, সেই সময় কিন্তু রেয়াত করব না। কার সঙ্গে কার ঝগড়া আছে জানি না। ভোটে এক হয়ে লড়তেই হবে। না হলে তাকে দেখে নেব আমরা। তিনি যত বড়ই নেতা হন, তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।"
অন্যদিকে বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, " দলে থেকে গদ্দারি যারা করবে তাদের কিন্তু রেয়াত দেব না, জানিয়ে রাখছি। তাই তাঁদের বলব সঠিক পথে চলুন।
অপরদিকে এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, "আমাদের দুর্ভাগ্য এই দুবরাজপুরে আপনারা এমন একটা মানুষকে বেছে নিয়েছেন যাকে দেখাও যায় না, যাঁর ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করার জায়গাটাও সে খুঁজে পাচ্ছে না। সেই টাকাটা ফেরত যাচ্ছে বছর বছর।"
No comments:
Post a Comment