জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করতে মঙ্গলবার করুন এই প্রতিকার
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৭সেপ্টেম্বরে : বজরঙ্গবলীর পূজো মঙ্গলবার করা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যদি কোনও ব্যক্তি বজরঙ্গবলীর পুজো করেন, তবে বজরঙ্গবলী অবশ্যই তার ইচ্ছে পূরণ করেন। হনুমত সাধনা সব কষ্ট দূর করে বলে মনে করা হয়। এই কারণেই বজরঙ্গবলীকে সংকটমোচনও বলা হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই মঙ্গলবারের পূজো ও জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা সম্পর্কে-
মঙ্গলবারের পূজোর গুরুত্ব:
সনাতন ধর্মে সপ্তাহের সাতটি দিনই কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার বজরঙ্গবলীর পুজো করার বিধান রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর পূজা করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই দিনে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবনের সমস্ত সমস্যা ও অসুবিধে দূর করা যায়।
ধর্মীয় রীতি অনুসারে মঙ্গল হল সবচেয়ে শুভ, কল্যাণ ও শক্তির দিন।
মঙ্গলবারের প্রতিকার:
মঙ্গলবার নিয়মিত রামমন্দিরে যান। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে ও সন্ধ্যায় বজরঙ্গবলীর সামনে ঘি প্রদীপ জ্বালান।
মঙ্গলবার ভগবান বজরঙ্গবলীকে বুন্দির লাড্ডু নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। গুড়েরসঙ্গে বুন্দি লাড্ডু বা ছোলা ডাল দেওয়ার চেষ্টা করুন।
মঙ্গল দোষ ও শনিদোষ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতি মঙ্গলবার চামেলীর তেলের সঙ্গে সিঁদুর মিশিয়ে বজরঙ্গবলীকে লাগাতে হবে।
সংকতমোচন হনুমানকে খুশি করতে তুলসী পাতায় রামের নাম লিখে মালা পরাতে হবে। তবে ১০৮টি তুলসী পাতা মালায় ব্যবহার করতে হবে।
মঙ্গল গ্রহের অবস্থান ঠিক করতে মঙ্গলবার বানর ও লাল রঙের গরুকে গুড় ও ভাজা ছোলা খাওয়ান।
হনুমান চালিসা পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মঙ্গলবার এটি পাঠ করলে জীবনের সব ধরনের বাধা দূর হয়।
মঙ্গলবার একটি মাটির পাত্রে মধু রেখে হনুমানের মন্দিরে রাখলে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে এবং অশুভ নজর এড়াতে সাহায্য করে।
মঙ্গলবার শ্বেত চন্দন ও জাফরানের পেস্ট বানিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে তিলক লাগাতে হবে এবং অবশিষ্ট পেস্টটি নিজের এবং স্ত্রীর কপালে লাগালে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর থাকে।
মঙ্গলবার হনুমানকে মিষ্টি পান, ছোলা, সিঁদুর ইত্যাদি নিবেদন করলে তিনি ভক্তদের সকল প্রকার ঝামেলা দূর করেন।
মঙ্গলবার বাড়ির প্রধান দরজায় সুতোয় লঙ্কা ও লেবু ঝুলিয়ে রাখলে নেতিবাচকতা দূর হয়।
No comments:
Post a Comment