জন্মাষ্টমীতে রয়েছে শসার গুরুত্ব!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭সেপ্টেম্বর : এ বছর জন্মাষ্টমী পালিত হল ৬ সেপ্টেম্বর। প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। শ্রী কৃষ্ণকে শ্রী হরি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার মনে করা হয়। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীতে উপস্থিত মানুষকে বাঁচাতে মা দেবকীর গর্ভ থেকে কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। নন্দলালের জন্ম রাত বারোটায়, তাই প্রতি বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে পুজো হয় রাত বারোটায়। নাড়ু গোপালের পূজোয় তার সাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে এদিন ৫৬ ধরনের খাবারও প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু কেন শসা ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়, চলুন জেনে নেই-
এদিন সকাল থেকেই কৃষ্ণের শিশু রূপ নাড়ু গোপালকেও শসায় রাখা হয়। জন্মের সময় শসা থেকে বের করে জন্মের উৎসবটি খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয়। শসা থেকে কৃষ্ণের জন্মের এই প্রক্রিয়াটিকে নাল ছেদন বলা হয়।
নন্দলাল জন্মাষ্টমীর দিন মধ্যরাতে ১২ টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই মাঝরাতে একটি মুদ্রা দিয়ে শসার বোঁটা কেটে কানহা প্রসব করাতে হবে। এই পদ্ধতির পরে, শঙ্খ বাজিয়ে কানহাকে স্বাগত জানান। তারপর পূর্ণ আচার সহকারে শ্রী কৃষ্ণের পূজো করে চরণামৃত সহ শসা নিবেদন করুন।
প্রতিকার:
জন্মাষ্টমীর দিনে শসা কেটে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম নেওয়ার প্রক্রিয়াকে নাল ছেদন বলা হয়। এই দিন, পূজোর সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে শসা রেখে, রাত ঠিক ১২ টায় একটি মুদ্রা দিয়ে মাঝখান থেকে শসা ও বোঁটা কেটে নিন।
বাল গোপালের পূজোয় শসার গুরুত্ব:
জন্মাষ্টমীতে কানহাকে শসা নিবেদন করতে হবে।এটা বিশ্বাস করা হয় যে শসা নিবেদন করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খুব খুশি হন এবং তাঁর ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন। বিশ্বাস করা হয় যে শসা দিয়ে নন্দলালের নাল ছেদন করা হয়েছিল, যদি কোনও গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ানো হয় তবে শ্রীকৃষ্ণের মতোই তারও সন্তানের জন্ম হয়।
No comments:
Post a Comment