তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার, খোঁচা বিজেপির
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ১৭ সেপ্টেম্বর: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার। দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই পোস্টার পড়ে রবিবার সকালে। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া ও যশপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও উপপ্রধানের বিরূদ্ধে পড়া এই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। এখন আবারও পড়ল।
এছাড়াও এবার এই পোস্টারে সাংসদ শতাব্দী রায় ও সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি দুর্নীতি মুক্তির হিরো কাজল শেখকে উল্লেখ করে লেখা হয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার যশপুর পঞ্চায়েতের সালুঞ্চি গ্রামে মিলন মেলায় আসছেন কাজল শেখ। তাঁর আসার ২৪ ঘন্টা আগেই দলীয় অঞ্চল সভাপতির বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল এলাকায়। এই পোস্টারে শুধু অঞ্চল সভাপতির বিরূদ্ধে অভিযোগ নয়, যশপুর পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান পরিমল সৌ-এর বিরুদ্ধেও লেখা রয়েছে।
এখানে লেখা আছে, "কোনও আলোচনা ছাড়াই অঞ্চল সভাপতি রাজার রাজত্বে এগিয়ে চলছে। মাত্র দুজন মিলে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। এটার কী কোনও তদন্ত হবে না??? অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন-এর নাম করে আরও লেখা রয়েছে একজন মারুতি ড্রাইভার হয়ে ৮ বছরে গাড়ি-বাড়ি, জমি, জায়গা, খাস জমি নিজের নামে করা, আম বাগান কী করে হয়? শুধুমাত্র স্বজন পোষণের জন্য দলের সংগঠন যে আপনার জন্য শেষ হয়ে যাচ্ছে সেটা কী আপনার দূর্বলতা নয়?? তাছাড়াও জিও ফাইবারের ১০ লক্ষ টাকা, জি টাওয়ারের কমিশন তাঁদের পকেটে ঢুকছে এটা কী পঞ্চায়েত বুঝছে না?"
যশপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পরিমল সৌ এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি শুনলাম, এখনও দেখিনি। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দলের উপর নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দল তদন্ত করে দেখুক ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।"
অপরদিকে এই পোস্টার পড়া নিয়ে শাসক দলকে বিঁধেছে পদ্ম শিবির। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মানেই দুর্নীতি, তৃণমূল কংগ্রেস মানেই চোর, সেটা বারবার প্রমাণ হচ্ছে।" শুধু অঞ্চল সভাপতি ও উপপ্রধান নয়, তৃণমূলের অনেক নেতাই মানুষের টাকায় ফুলেফেঁপে উঠেছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment