শহরের একাংশ নিশ্চিত! স্বজনহারার কান্নায় ডুবে লিবিয়া, মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০০০০
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৫ সেপ্টেম্বর : লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এসব ঘটনার তদন্তের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। লিবিয়ার আধুনিক ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় দুর্যোগ, যাতে নিহতদের মৃতদেহও উদ্ধার করা যাচ্ছে না। উদ্ধারকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সামুদ্রিক বন্যা শহরে প্রবেশ করেছে এবং এর জলে বহু মানুষ ভেসে গেছে। তাদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। লিবিয়ার দেরনা শহরের প্রায় অর্ধেক সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
দেরনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথি বলেছেন যে শহরে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, এখন মহামারী ছড়িয়ে পড়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। জলে মৃতদেহ পচে যাচ্ছে এবং রাস্তার জলের সাথে নোংরা জলও বইছে। এ কারণে রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, লিবিয়ায় এত মৃত্যু এড়ানো যেত। সংস্থাটি বলেছে যে লিবিয়া গত এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধে ভুগছে এবং দেশটি দুটি ভিন্ন সরকার দ্বারা শাসিত হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে খোদ আবহাওয়া অধিদপ্তর লিবিয়ায় সক্রিয় নয়।
দেশে আবহাওয়া অধিদপ্তর তৎপর থাকলে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত এবং তাহলে মানুষকে বাঁচানো যেত। বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছে, বন্যার পূর্বাভাস যদি সময়মতো জানা যেত, তাহলে মানুষ আরও আগেই কোথাও সরে যেত। এছাড়া উদ্ধার অভিযানের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ডারমা নগরী এমনিতেই বিপদের মুখে ছিল বলে জানিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে শহরটিতে কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, তা না হলে যে কোনও সময় ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়তে পারে সমুদ্র তীরে অবস্থিত এ শহরকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
ডারমা শহরের এই বন্যা এতটাই তীব্র ছিল যে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশাল ভবন ধসে পড়ে। এমন অনেক পরিবার রয়েছে যা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কোনও সদস্য অবশিষ্ট নেই। এক ব্যক্তি জানান, এই দুর্যোগে তিনি তার যৌথ পরিবারের ১৩ সদস্যকে হারিয়েছেন। বন্যার ভয়াবহতা বোঝা যায়, জেসিবির সাহায্যে মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে এবং কবর খোঁড়া হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় গত ১০ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি ও অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment