বেকারত্ব ঘোচাতে ভরসা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যই! দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন এমএ পাশ যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৮ সেপ্টেম্বর: তিনি এমএ পাশ, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায়ও বসেছেন। কিন্তু মিলছে না চাকরি। এদিকে পরিবারে অনটন। বাবা অসুস্থ, আগের মত কাজও করতে পারছেন না। তাই সংসার চালাতে বাবার পেশাকেই বেছে নিলেন এমএ পাস যুবক। বাবার সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। বেকারত্ব ঘোচাতে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যই এখন ভরসা মালদার কৌশিক পালের।
বাবার মৃৎশিল্পের কারখানায় প্রতিমা তৈরি করছেন এমএ পাশ কৌশিক। এই বছর একাধিক বড় বড় ক্লাবের প্রতিমা তৈরি করছন। চাকরির আশায় না থেকে সংসার চালাতে পুরোপুরি মৃৎশিল্পের কাজে নেমে পড়েছেন তিনি। ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার ফাঁকে অল্প অল্প করে কাজ শিখেছে বাবার কাছে। ইচ্ছে ছিল প্রতিমা তৈরীর কাজ শেখার। এই কাজ তাঁর ভালো লাগে। তাই তো সংস্কৃত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ইচ্ছে রয়েছে সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষকতা করার। পাশাপাশি শখ হিসাবে প্রতিমা তৈরির কাজ করার।
পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর পঞ্চায়েতের বাজারপাড়া এলাকায় বাসিন্দা বিমল পাল একজন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী।বাবার হাত ধরেই কাজ শিখেছেন কৌশিক পাল। বংশের পরম্পরাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে শুরু করেছেন। বাবা বিমল পাল ছেলেকে এই শিল্পকলা শেখান। কারণ তিনি আগে থেকেই সজাগ হয়েছিলেন। ভবিষ্যতে কি হবে তিনিও জানেন না। তাই ছেলেকে এই বিদ্যা শিখতে বলেন। তবে ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। তাই তিনিও চাইছেন ছেলের একটি চাকরি। ছেলেকে কষ্ট করে লেখা-পড়া শিখিয়েছেন ভালো কিছুর আশায়। তাই বাবা বিমল পাল চাইছেন ছেলের চাকরি।
বেশ কিছু প্রতিমা তৈরীর কারিগরদের সহযোগিতা নিয়েই এখন বাবা ও ছেলে দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ছেন। বাবা অসুস্থ, তাই চলতি মরশুমে ছেলের কাঁধেই দায়িত্বভার বেশি পড়েছে। তবে প্রতিমা তৈরি করলেও কৌশিক এখনও আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে একটি সরকারি চাকরির জন্য। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি নিয়মিত চলছে চাকরির প্রস্তুতিও।
No comments:
Post a Comment