কানাডাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে ভারত! জাতিসংঘে সবর হতে পারেন জয়শঙ্কর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর : খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কানাডাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফাঁস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বক্তব্য। জল্পনা রয়েছে যে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগের জবাব দিতে পারেন যে তিনি হরদীপ সিং নিজ্জার খুনের জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলিকে দায়ী করেছিলেন। জুন মাসে কানাডায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গুলিতে নিহত হন নিজ্জার। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এস. জয়শঙ্কর তার বক্তৃতায় খালিস্তান নিয়ে কানাডাকে টার্গেট করতে পারেন এবং সন্ত্রাসীদের লালন-পালনের কিছু প্রমাণও উল্লেখ করতে পারেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জার খুনের জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলিকে দায়ী করেছিলেন, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দিতে সক্ষম হননি। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কানাডিয়ান শিখ রাজনীতিতে খালিস্তানি উপাদানের আধিপত্যের কারণে, ট্রুডো তার অভিযোগে অটল, যদিও তার কাছে কোনও প্রমাণ নেই। এদিকে, ট্রুডো এখন নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু ভারতীয় নাম উল্লেখ করতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। কানাডায় শিখ রাজনীতির প্রভাব বোঝা যায় যে ২০১৫ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়েছিলেন, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার তাকে একটি গুরুদ্বারে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে ছিল এই গুরুদ্বার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন আসেন, তখন তাঁর সমর্থকরাও সেখানে বিপুল সংখ্যক উপস্থিত ছিলেন। কানাডার পার্লামেন্টে জাস্টিন ট্রুডো যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে দুই দেশের সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো 'ফাইভ আই' সংস্থার দেশগুলিও এই ইস্যুতে বিভক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘের বৈঠক ছাড়াও তিনি ওয়াশিংটনের কাছে এই প্রসঙ্গ তুলতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভারত বছরের পর বছর ধরে কানাডাকে অভিযোগ করে আসছে যে তারা খালিস্তানি উপাদান লালন-পালন করেছে। তাদের একজন হরদীপ সিং নিজ্জার। ২০১৮ সালে, ভারত কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি তালিকা জমা দিয়েছিল, যেখানে সেখানে সক্রিয় এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত উপাদানগুলির উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু কানাডা আজ পর্যন্ত এসব বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি কোনও খালিস্তানিকেও প্রত্যর্পণ করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment