তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৩ সেপ্টেম্বর : তারাপীঠে ঘুরতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা। অভিযোগ ,অপর এক সদস্যের ইন্ধনে পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয় ।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি মল্লিক পাড়ায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অমল দাস এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে গত সপ্তাহে তারাপীঠ যান । রবিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় রমেশ গাইন নামের এক তৃণমূল কর্মীর। সোমবার সকালে মৃত দেহ আসার পর খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাকিবুল্লা ছাড়াও তার স্ত্রী তথা সোনম বিবি কয়েকজন বাসিন্দাদের নিয়ে মৃতের বাড়িতে যায়। কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদেহের ময়না তদন্তের দাবী জানান তারা। পুলিশের হস্তক্ষেপে ময়না তদন্ত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ নিয়ে কুলবেড়িয়া ১০ নং পার্টের পঞ্চায়েত সদস্যর সোনম বিবির বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে ১১ নং পার্টের সদস্য রিমা দাসের স্বামী সুশান্ত দাস ওরফে পুটু ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় তৃণমূল মেম্বর সোনম বিবি বলেন, "রমেশ গাইন তার মৃত্যুর কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সুস্থ মানুষ হঠাৎ কেন মারা গেল এই নিয়ে এলাকায় হুলস্থুল কান্ড ঘটে। আমার স্বামীকে বাসিন্দারা প্রশ্ন করে। সে বলে পরিবারের লোকেরা সিদ্ধান্ত নেবে। ময়নাতদন্ত করতে আমার কোনও আপত্তি নেই। আজ ওরা হামলা করল। "
বাকিবুল্লা বলেন, " পুলিশ করিয়েছে । অথচ আমাকে বলছে ময়নাতদন্ত কেন হল? তুই কেন পুলিশকে দিয়ে ময়নাতদন্ত করালি?এসব বলে হামলা করে। প্রধানের ইন্ধনে আমাদের এই বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অমল দাস বলেন " আমি তারাপীঠ গিয়েছি আমার মত। সুশান্ত দাসের কয়েকজন গিয়েছিল। তাদের এক জনের মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনা ঘটেনি। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মিটিয়ে নেওয়া হবে "।
সুশান্ত দাস বলেন, " স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কোনও হামলা হয়নি। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। "
No comments:
Post a Comment