পাকিস্তানের স্কুলের ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিয়ম
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,০৫অক্টোবর : ভারত-পাকিস্তান একসঙ্গে স্বাধীন হলেও আজ এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। আসলে, পাকিস্তানে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিষয়ে অনেক নিয়ম তৈরি করা হয়েছে যেখানে এদেশে এমন কিছুই নেই। আর এ কারণে এদেশ ও পাকিস্তানের ব্যবস্থা একেবারেই আলাদা। আজকে আমরা পাকিস্তানের স্কুলগুলির কথা জানবো যে সেখানকার শিক্ষা কীভাবে আলাদা এবং স্কুলের ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিয়মগুলি-
পাকিস্তানের স্কুলে বিভিন্ন ইউনিফর্ম কোড রয়েছে। এদেশে যেমন শুধু শার্ট প্যান্ট বা টি-শার্ট প্যান্ট স্কুল ইউনিফর্ম, তেমনটা পাকিস্তানে নয়। এখানে, বেসরকারী এবং সরকারী স্কুলে ইউনিফর্মের রঙ এবং নকশা ভিন্ন হতে পারে, তবে স্কুলগুলিতে ইউনিফর্ম প্যান্ট, শার্ট ইত্যাদি নিয়ে গঠিত। পাকিস্তানের কিছু স্কুলে শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি ইউনিফর্ম হলেও অনেক স্কুলে কুর্তা-পাজামা ইত্যাদি ইউনিফর্মের অংশ। এর সঙ্গে, এই দুটি ইউনিফর্মের মধ্যে বিতর্ক চলতে থাকে এবং লোকেরা বিভিন্ন ইউনিফর্মের পক্ষে থাকে।
পাকিস্তানি মিডিয়ার মতে, পাকিস্তানের বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলে শার্ট-প্যান্ট হল ইউনিফর্ম, যেখানে সরকারি স্কুলে কুর্তা-পাজামা স্কুল ইউনিফর্মের একটি অংশ। অনেক শিশুই সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা দেখতে শার্ট-প্যান্ট পরতে পছন্দ করে। কিন্তু, কিছু অভিভাবক এবং শিশু কুর্তা-পাজামাকে সংস্কৃতির অংশ হিসাবে বিবেচনা করে এবং এটিকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করে এবং স্কুলেও এটি পরতে পছন্দ করে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে, বেসরকারী স্কুল মালিকদের স্কুলে যাতে কোরান পড়ানো হয় তা নিশ্চিত করতে সরকারকে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে এখন ইউনিফর্মের পরিবর্তন দরকার এবং এই নিয়ম কার্যকর হলে ছেলেদের জন্য ক্যাপ এবং মেয়েদের পোশাকে দোপাট্টা বা স্কার্ফ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। তবে এটাও বলা হচ্ছে যে, এটি শুধুমাত্র সেই সময়ের জন্যই প্রয়োজন হবে যখন কোরান পড়ানো হবে।
শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষকদের পোশাক সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে। ফেডারেল ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশনের মতে, মহিলা শিক্ষকদের স্কুলে আঁটসাঁট পোশাক এবং জিন্স পরতে নিষেধ করা হয়েছে। এখন শিক্ষকদেরও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, চুল কাটা, দাড়ি কাটা, নখ কাটা ইত্যাদির বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment