যৌ-ন ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ অনেক রোগের যম পলাশ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর: প্রকৃতিতে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যার হাজার হাজার ঔষধি গুণ রয়েছে। এই উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি আয়ুর্বেদে বহু শতাব্দী ধরে পরিচিত। এখন বিজ্ঞানও এই দাবীগুলির বেশিরভাগই বৈধতা দিতে শুরু করেছে। পলাশ ফুল, যাকে ফ্লেম অফ দ্য ফরেস্ট বলা হয়, এই সব ঔষধি গাছের মধ্যে একটি। পলাশ ফুল বা গাছ দিয়ে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। এটি ডায়াবেটিসে সবচেয়ে বেশি উপকারী। আসুন জেনে নিই পলাশ ফুল বা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে।
পলাশের উপকারিতা
১. ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়- সায়েন্স ডাইরেক্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পলাশ ফুলে অ্যালকালয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফুরানোফ্ল্যাভোন, ক্রোমানোফ্ল্যাভোনস-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা অক্সিডেটিভ ডিফেন্স মেকানিজমকে শক্তিশালী করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে সক্রিয় করে এবং ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়। ইনসুলিন রক্তে শর্করাকে শোষণ করে এবং শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
২. প্রস্রাবজনিত রোগ দূর করতে- পলাশ পাতা থেকে প্রাপ্ত যৌগ প্রস্রাবের রোগ কমানোর ক্ষমতা রাখে। এটি খেলে মূত্রাশয় ফুলে যাবে না। পলাশ পাতা খেলে মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়, যা প্রস্রাবের রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
৩. রক্ত পরিশোধন করতে- পলাশ ফুল দিয়ে রক্ত পরিশোধন করা যায়। এটি রক্ত পরিষ্কার করে ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে। পলাশ ফুলের পেস্ট ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দূর করে।
৪. পোকামাকড় মারতে - পলাশ ফুল এবং পাতার পেটে থাকা পোকা মারার ক্ষমতা রয়েছে। আয়ুর্বেদে, এটি পাউডার আকারে দেওয়া হয়, যা শিশুদের কৃমি মেরে ফেলে। এতে কৃমি-বিরোধী গুণ রয়েছে।
৫. যৌন ক্ষমতা বাড়াতে - আয়ুর্বেদে পলাশ ফুল থেকে তৈরি পাউডার ব্যবহার করা হয় যৌন ক্ষমতা বাড়াতে। পলাশের বজ্জিকরণ ও কাক্ষ্য সম্পত্তি রয়েছে। পলাশ ফুলের গুঁড়া তৈরি করে রাতে দুধে চিনি মিশিয়ে খাওয়া হয়।
ব্যবহারের পদ্ধতি
পলাশ ফুল, পাতা ও বাকল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পাতার পেস্ট ত্বকে লাগান। এর পাতা এবং ফুলের ক্বাথও তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহার করার সঠিক উপায় ডাক্তারের থেকে জেনে নেওয়া ভালো।
No comments:
Post a Comment