এড়িয়ে যাবেন না ছোটখাটো সমস্যা,হতে পারে বড় কিছুর লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: দূষণের কারণে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।কোথাও এটি জেনেটিক আবার কোথাও ধূমপান ও মদ্যপান এই রোগকে আমন্ত্রণ জানায়।তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।এই কারণেই আজ ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে স্পন্ডিলাইটিস এবং আর্থ্রাইটিসের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে।জয়পুর থেকে আসা ডাঃ রাহুল জৈন ইন্দোরে রিউমাটোলজি অপ্টেড ফ্রম ল্যাব টু বেডসাইড বিষয়ে এই কথাগুলো বলেছেন।তিনি এসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ানস অফ ইন্ডিয়া এবং আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড বোন কেয়ার সোসাইটির ইন্দোর শাখার সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন।
ডায়েট এবং ব্যায়াম -
ড.রাহুল জৈন বলেন,চিকুনগুনিয়ার পর জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা হয়,যা বাত।সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আধা ঘণ্টার বেশি কোমরে শক্ত ভাব থাকে,তারপর হাঁটলে ভালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মানুষ মনে করে গদি পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে,কিন্তু এটি রোগের শুরু।এতে বুকে ব্যথা,পা ও হাঁটু ফুলে যাওয়া,কোমরের নিচে ব্যথার মতো সমস্যাও হয়।তাই সময়মত চিকিৎসা প্রয়োজন।হাত ও পায়ের বাত ১০০ জনের মধ্যে একজনের হতে পারে।একই সময়ে, ২০০ থেকে ৩০০ জনের মধ্যে একজনের স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি যোগব্যায়াম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন,প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন এবং খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখুন।
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।কেরালার কালিকট থেকে রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ড.বিনোদ রবীন্দ্রন বলেন, গর্ভবতী মহিলার যদি আর্থ্রাইটিস বা সংশ্লিষ্ট রোগ থাকে, তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।কারণ এই সময়ে সমস্যা বাড়তে পারে।অতএব,অটো ইমিউন রোগে আক্রান্ত একজন মহিলার প্রথমে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। রোগ নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে থাকলে সে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারবে।তবে নবজাতকেরও যে এই রোগ আছে তা নয়।এটি একটি অটো ইমিউন অবস্থা,যা প্রতিটি ব্যক্তির শরীরে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।এর জন্য ওষুধের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
অটো ইমিউন কী?
তিরুপতির ডাঃ পি দামোদরন বলেন যে,আমাদের শরীরের অটো ইমিউন সিস্টেম রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে,কিন্তু কিছু কারণে এটি নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে।ফলে রোগ হতে শুরু করে,একে অটো ইমিউন ডিজিজ বলা হয়।এর মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন মুখে ঘা, সূর্যের আলোতে শরীরে লাল দাগ,চুল পড়া,দীর্ঘদিন জ্বর,মুখে শুষ্কতা,চুলকানি,চোখে শুষ্কতা বা পেশী দুর্বলতা ইত্যাদি।সম্মেলনে আসা ডাঃ অক্ষত পান্ডে বলেন,১৫-২০ বছর আগে আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য মাত্র ৪-৫টি ওষুধ ছিল,কিন্তু ২০২৪ সালে আমাদের অনেক চিকিৎসার বিকল্প রয়েছে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment