সাদা স্রা-ব থেকে মুক্তি দিতে পারে বটের ছালের ক্বাথ, জেনে নিন ব্যবহারের সঠিক উপায়
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৯ ফেব্রুয়ারি: আয়ুর্বেদে অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, যা অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাধি নিরাময় করতে পারে। বটগাছের ছালও এসব ওষুধের অন্তর্ভুক্ত। শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে বটগাছের ছাল ব্যবহার করা যায়। আমরা অনেকেই এটি ক্বাথ আকারে ব্যবহার করতে পারি। আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তবে এটি পিরিয়ডের সমস্যা থেকে শুরু করে সাদা স্রাব, ফোস্কা পর্যন্ত সমস্যাগুলি অনেকাংশে সমাধান করতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে বটগাছের ছালের ক্বাথ তৈরির পদ্ধতি এবং এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই বটগাছের ছাল বা বাকলের ক্বাথ পান করলে কী কী স্বাস্থ্য উপকার হবে?
যোনিপথে স্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন
বটগাছের ছালের ক্বাথ পান করলে লিউকোরিয়া অর্থাৎ সাদা স্রাবের সমস্যা সেরে যায়। এ জন্য বটগাছের বাকলের ক্বাথ নিন, এতে সুতির কাপড় কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এবার যোনিতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। দিনে দুবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে সাদা স্রাবের সমস্যা কমানো যায়।
মুখের ঘা থেকে মুক্তি
মুখের ঘা দূর করতে বটগাছের ছালের ক্বাথ পান করতে পারেন। এটির একটি খুব উচ্চ ক্ষত নিরাময় ক্ষমতা আছে। আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তবে এটি অনেকাংশে ঘা বা ফোস্কা নিরাময় করতে পারে। এটি ব্যথা এবং ফোলা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি
বটগাছের ছালের ক্বাথ পান করলে কাশি ও সর্দির সমস্যা সেরে যায়। আসলে, এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির মতো বৈশিষ্ট্য, যা সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
অনিদ্রা থেকে মুক্তি
বটগাছের বাকলের ক্বাথ পান করলে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভালো এবং গভীর ঘুমের জন্য, আপনি এই ক্বাথ দিনে দু'বার খেতে পারেন। এটি মানসিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়, যা আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।
কীভাবে বাড়িতেই বট ছালের ক্বাথ তৈরী করবেন?
এই ক্বাথ তৈরি করতে, প্রথমে ২ গ্লাস জল নিন, এতে প্রায় ১০ গ্রাম বটের ছাল যোগ করুন এবং এটি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। এবার এই ক্বাথ নিয়মিত পান করুন। এতে আপনার সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে পারে।
বটগাছের বাকলের ক্বাথ পান করলে শরীরের অনেক সমস্যা সেরে যায়। তবে মনে রাখবেন যে, আপনার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে বা আপনার সমস্যা বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment