জেনে নিন ভালুকছানা কেন প্রেমের প্রতীক? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 9 February 2024

জেনে নিন ভালুকছানা কেন প্রেমের প্রতীক?


জেনে নিন ভালুকছানা কেন প্রেমের প্রতীক?


প্রদীপ ভট্টাচার্য, ৯ ই ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: প্রেমের প্রতীক হিসেবে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে টেডি ডে। ভালোবাসার চূড়ান্ত অভিব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা টেডি বিয়ারকে। মন খারাপ হোক কিংবা ভালো, যেকোনো ভালোলাগার মুহূর্ত প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই নরম তুলতুলে টেডি বিয়ার জড়িয়ে ধরেন। আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি দিনটি টেডি দিবস হিসেবেই পালন করা হয়। এর তাৎপর্য হল দুটি মনকে আরো কাছাকাছি এনে দেওয়া। এটিকে জড়িয়েই, টেডির স্পর্শেই আমাদের আবেগ, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আর তাই প্রতিবছর প্রেমের প্রতীক হিসেবে চলে আসছে টেডি ডে।


বর্তমানে কম দামের আকারে বড় টেডিই সকলের পছন্দের। এক বিক্রেতার কথায়, নরম টেডিকে জড়িয়ে ধরলে আপনার তার কথা মনে পড়বে, যিনি আপনাকে এটি উপহার দিয়েছেন। টেডি যেহেতু ফুলের মত শুকিয়ে যায় না তাই এটি স্মৃতি হয়ে থেকে যায় বহুদিন পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ধরা থাকে সুখের মুহূর্ত গুলিও। ভালোবাসার রং লাল। সে কারণে লাল রংয়ের টেডি হল ভালোবাসার অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। কমলা টেডির অর্থ হলো, শীঘ্রই আসতে চলেছে প্রেমের প্রস্তাব। তাছাড়া এটি অন্যান্য উপহারের মত নষ্ট হয় না, থাকে অনেকদিন পর্যন্ত।


এই টেডি বিয়ারের মধ্যে অন্য একটি মানেও লুকিয়ে রয়েছে। তা হল পশুহত্যা নিষিদ্ধ করা। ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেদিন অনেক খুঁজেও কোনও শিকার পাননি। কোনও উপায় না দেখে তার সঙ্গীরা তার মন রাখতে একটা কালো ভালুক ছানা খুঁজে এনে গাছে বেঁধে রাখেন। কিন্তু সেই ছোট্ট মিষ্টি প্রাণীটিকে তিনি মারতে পারেননি। এরপর রুজভেল্ট যাবতীয় পশুহত্যা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীকালে তার সম্মানে এক কার্টুনিস্ট এই ভালুকের একটি কার্টুন আঁকেন। সেই ছবি দেখে তৈরি হয় নরম তুলতুলে খেলার সঙ্গী ভালুকছানা। থিওডোর রুজভেল্ট এর নামের অংশ থেকে এই খেলনার নামকরণ হয় টেডি বিয়ার। আর এর থেকেই টেডি বিয়ার ডে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad