হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে বেদনা, মাধুরীর দিদির জীবন ভীষণ কষ্টের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 5 February 2024

হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে বেদনা, মাধুরীর দিদির জীবন ভীষণ কষ্টের

 



হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে বেদনা, মাধুরীর দিদির জীবন ভীষণ কষ্টের



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ ফেব্রুয়ারি: একসময় টেলিভিশনের পর্দার অন্যতম একটি অনুষ্ঠান ছিল সুরভী, এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ছিলেন রেনুকা সাহানে । রেনুকা এমন একজন অভিনেত্রী যাকে চিরকালই আমরা হাসিমুখে দেখেছি। এই হাসিমুখের আড়ালেও যে লুকিয়ে রয়েছে কত জীবন যুদ্ধের ইতিহাস, তা চট করে বোঝা যায় না। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো রেনুকার জীবনের নানান অজানায় ইতিহাস।


সুরভী দিয়ে পরিচিতি তৈরি করলেও রেনুকা সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ১৯৯৪ সালে হাম আপকে হ্যায় কৌন সিনেমায় সালমান খানের প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর রেনুকা ঠিক করেছিলেন তিনি আর কখনো বিয়ে করবেন না কিন্তু ৩৫ বছর বয়সে আশুতোষ রানাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। যদিও আশুতোষকে বিয়ের আগে এই বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল রেনুকা এবং তার পরিবারের মধ্যে। যেহেতু রেনুকা একজন শহরের মেয়ে আর আশুতোষ গ্রামের একটি একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে, তাই আশুতোষের সঙ্গে রেনুকা কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সেই বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তায় ছিলেন অভিনেত্রীর পরিবার। যদিও সেই চিন্তা যে একেবারেই ভুল ছিল তা আজ রেনুকা এবং আশুতোষকে দেখলেই বোঝা যায়। দুই সন্তান শৌর্য মান এবং সত্যেন্দ্রকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন এই তারকা জুটি বৌদির ভূমিকায় অভিনয় করে। জানলে অবাক হয়ে যাবেন শাহরুখ খানের প্রথম সিরিয়াল সার্কাসের অভিনেত্রী ছিলেন রেনুকা। গত বছর ‘গোবিন্দ নাম মেরা’, সিনেমায় ভিকি কৌশলের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে একজন তুখোড় অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন পরিচালকও।


২০২১ সালের রেনুকা পরিচালিত ‘ত্রিভঙ্গ’ নামক একটি সিনেমায় নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। নেটফিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কাজল। সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে রেনুকার শৈশব, কৈশরের নানান কষ্ট এবং বেদনার কথা। ছোটবেলাতেই বাবা মার বিচ্ছেদ হওয়ায় যেভাবে স্কুলে বা বাড়িতে অপমানিত হতে হতে থাকে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমার মধ্যে।


   

রেনুকার বাবা বিজয় সাহানে ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিক। মা শান্তা গোখেল ছিলেন একজন লেখক। ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রে জন্ম হয় রেনুকার। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করার পর মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ২০০১ সালে আশুতোষ রানাকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী কিন্তু অনেকেই জানেন না আশুতোষকে বিয়ে করার আগে রেনুকা ছিলেন ডিভোর্সি। আশুতোষের আগে বিজয় কেঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। যদিও সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।


শোনা যায়, বিজয় চেয়েছিলেন রেনুকা শুধুমাত্র মারাঠি সিনেমায় অভিনয় করুক। এই প্রস্তাব রেনুকা মেনে নিতে পারেননি, ফলে অচিরেই ভেঙে যায় বিয়ে। বিবাহ বিচ্ছেদের কয়েক বছর পর রেনুকা এবং আশুতোষের প্রথম দেখা হয় পরিচালক হংশাল মেহেতার একটি শুটিং ফ্লোরে। রেনুকাকে দেখেই আশুতোষ রানা তাঁর প্রেমে পড়ে যান। রেনুকার ফোন নাম্বার জোগাড় করে আশুতোষ রানা তাকে ফোন করেন এবং প্রায় তিন বছর ফোনের মাধ্যমেই তাদের কথা চলে। তিন বছর পর একদিন হঠাৎ আশুতোষ রেনুকাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন, যে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান রেনুকা।


প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর রেনুকা ঠিক করেছিলেন তিনি আর কখনো বিয়ে করবেন না কিন্তু ৩৫ বছর বয়সে আশুতোষ রানাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। যদিও আশুতোষকে বিয়ের আগে এই বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল রেনুকা এবং তার পরিবারের মধ্যে। যেহেতু রেনুকা একজন শহরের মেয়ে আর আশুতোষ গ্রামের একটি একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে, তাই আশুতোষের সঙ্গে রেনুকা কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সেই বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তায় ছিলেন অভিনেত্রীর পরিবার। যদিও সেই চিন্তা যে একেবারেই ভুল ছিল তা আজ রেনুকা এবং আশুতোষকে দেখলেই বোঝা যায়। দুই সন্তান শৌর্য মান এবং সত্যেন্দ্রকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন এই তারকা জুটি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad