গলায় খাবার আটকে গেলে যা করবেন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৭ ফেব্রুয়ারি:
তাড়াহুড়ো করে খাওয়া সময় অনেকের গলায় খাবার আটকের যায় অনেক সময়। আবার অনেক ক্ষেত্রে গলায় খাবার আটকে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
বায়ুসেনার প্রথম বাঙালি এয়ারমার্শাল সুব্রত মুখোপাধ্যায় ১৯৬০সালে জাপানের টোকিওর এক রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে মারা যান।
শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।যাকে বলা হয় এস্পিক্সিয়া।শ্বাসনালী একবারে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক অক্সিজেনের অভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
এতে একজনের মানুষের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে।যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এনেক্সিয়া। খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে যাওয়ার বিষয়টিকে হেলাফেলায় নেওয়া উচিৎ নয়।আসুন জেনে নেই এরকম সমস্যা হলে কীভাবে সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন-
মার্কিন থোরাসিক সার্জন হেনরি জে হেইমলিচ ১৯৭৪ সালে গলায় খাবার আটকে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সম্পর্কে একটি উপায় জানিয়েছেন।যে চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে রক্ষা করা যায়।ওই পদ্ধতিটির নাম হল হেইমলিচ ম্যানিউভার।
খাবার আটকে গেলে পিঠে চাপড় মারলে তেমন কোনো কাজ হয় না। এর চেয়ে হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতিতে রোগীকে বিপদ থেকে বাঁচানো সম্ভব। এরজন্য রোগীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরুন।তার পেট ও পাঁজরের সংযোগস্থলে দুহাতে ধরে সজোরে ধাক্কা দিন।এতে আটকানো খাবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। এভাবে অনেকের প্রাণ বাঁচানো যায়।
তবে মনে রাখবেন,একবছরের শিশু বা গর্ভবতী নারীর ওপর কখনোই হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
No comments:
Post a Comment