জেনে নিন নিশাচর হাঁপানি সম্বন্ধে
প্রেসকার্ড নিউজ, লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৬ ফেব্রুয়ারি: নিশাচর হাঁপানি(Nocturnal Asthma)একটি রোগ।এই রোগে লোকেরা প্রায়শই অতিরিক্ত কাশি,শ্বাস নিতে অসুবিধা,রাতে বুকে ভারী হওয়া অনুভব করে।এটি প্রায়শই সেই সমস্ত লোকদের ক্ষেত্রে ঘটে যাদের ইতিমধ্যেই হাঁপানি,সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ),আইএলডি (ইন্টারস্টিশিয়াল লাঙস ডিজিজ)-এর মতো ফুসফুসের রোগ রয়েছে।ডাঃ মিতালি আগরওয়াল,পরামর্শক, পালমোনোলজি, ম্যাক্স হাসপাতাল গুরুগ্রাম,নিশাচর হাঁপানি কী এবং এটি এড়ানোর জন্য কী কী টিপস রয়েছে তা বিস্তারিতভাবে বলেছেন।
ডাঃ মিতালী জানান,এই রোগে শ্বাসকষ্ট হয়।যার কারণে রোগীর অবস্থা খুবই গুরুতর হয়।নিশাচর হাঁপানি এমনই একটি হাঁপানি যা রাতে হয়।এই সমস্যায় রাতের বেলায় বুক ধড়ফড়, কফ,হাঁচি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।এই অবস্থাকে উপেক্ষা করা খুব গুরুতর হতে পারে এবং যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি মারাত্মক হতে পারে।এর লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।এই রোগে রাতে অ্যাজমা অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।এটি মারাত্মকও হতে পারে তাই এটি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
শরীরের স্বাভাবিক ঘুমের অবস্থানে পরিবর্তনের কারণে রাতের বেলায়ও নিশাচর হাঁপানি হতে পারে।রাতে ঘুমানোর সময় সচেতনতা কমে যায় এবং শারীরিক পরিশ্রমও কমে যায়,যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল কমে যেতে পারে এবং হাঁপানির লক্ষণ বাড়তে পারে।
রাতে ঘুমাতে না পারা এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার ফলেও নিশাচর হাঁপানি বাড়তে পারে।রাতে বাতাসে উপস্থিত অ্যালার্জেন শ্বাস-প্রশ্বাসের গভীরতা বাড়াতে পারে,যা নিশাচর হাঁপানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
নিশাচর হাঁপানি এড়াতে,ঘুমানোর অবস্থানের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও উপকারী এবং ধূমপান এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ।ধূমপান নিশাচর হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়।রাতে ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করে শোয়াও উপকারী,কারণ এটি নিশাচর হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে পারে।
যখন কারুর এই রোগ হয়,ডাক্তাররা তাদের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং যখন কেউ গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়,তখন বিশেষ উপায়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং সময়মতো নিজেকে পরীক্ষা করুন যাতে এই রোগটি আরও গুরুতর না হয়।
No comments:
Post a Comment