অতিরিক্ত রুটি খান?জেনে নিন এর ক্ষতিকর দিকগুলো
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ ফেব্রুয়ারি: বাড়িতে যখন একটি প্রিয় সবজি বা অন্য কিছু তৈরি করা হয়,তখন একজন ব্যক্তি এক বা দুটি অতিরিক্ত রুটি খেয়ে ফেলেন।আমরা রুটিকে স্বাস্থ্যের জন্য যতই উপকারী মনে করি না কেন,প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেলে তা অবশ্যই ক্ষতির কারণ।আজকে বেশি রুটি খাওয়ার কুফল সম্পর্কে বলব।
গমের আটার রুটি সাধারণত বাড়িতে ব্যবহৃত হয় এবং যদিও এতে ফাইবার থাকে,তবে আঠা বেশি থাকার কারণে এটি কোনও উপকার দেয় না।গমের আটার রুটি সুগার, কোলেস্টেরল এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অনেক রোগের কারণ।এটি অতিরিক্ত খাওয়া হলে আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খুব বেশি গমের রুটি খাওয়ার অসুবিধাগুলোকী কী।
সিলিয়াক রোগের কারণ -
গমের আটার রুটিতে গ্লুটেন নামক একটি উপাদান থাকে।যদি এই পদার্থটি খুব বেশি পরিমাণে শরীরে পৌঁছায় তবে সিলিয়াক রোগের ঝুঁকি থাকে।সমস্যা হলো একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে সমস্যার শেষ থাকে না।রোগী পেটে ব্যথা,ডায়রিয়া এবং দুর্বলতায় ভুগতে পারেন।তাই সুস্থ থাকতে চাইলে রুটি খাওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বন্ধ করুন।
আপনার শরীরে কার্ব স্টোরেজ হয়ে যাবে -
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের শক্তির প্রয়োজন।আর শক্তির প্রধান উৎস হল কার্বোহাইড্রেট।রুটি এমনই একটি কার্বোহাইড্রেট খাবার।তাই নিয়মিত রুটি খাওয়া জরুরি।তবে ক্ষুধা মেটানোর জন্য অনেক রুটি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।আর এই কারণে চিনি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে রুটি খাওয়া উচিৎ নয়।
ওজন বাড়বে -
ঘি লাগিয়ে রুটি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে।আর এই অভ্যাস অনেক জটিলতার জন্ম দিতে পারে।কারণ রুটির উপর ঘি লাগালে এর ক্যালরির মান বহুগুণ বেড়ে যায়।ফলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে।এমনকি ঘি'তে উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ঘি মেখে আটার রুটি খাবেন না।
স্নায়বিক সমস্যা -
যদি খুব বেশি গ্লুটেন শরীরে প্রবেশ করে তবে কিছু ক্ষেত্রে স্নায়ুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।নিউরোলজিয়া ব্যথা ও কষ্ট বাড়তে পারে।এটি স্নায়ুর প্রদাহের ঝুঁকিও বাড়ায়।তাই বিশেষজ্ঞরা সবাইকে অতিরিক্ত রুটি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে বলছেন।শুধুমাত্র এটি করলেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
গরম অনুভব করা -
বেশি রুটি খেলে শরীরে তাপ উৎপাদন বেড়ে যায়,যার কারণে গরম বেশি লাগে।শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম হবে এবং শরীরে জলের অভাব দেখা দেবে।তাই পুষ্টিবিদ শৈলী তোমর বলেছেন, বেশি পরিমাণে রুটি খাওয়া উচিৎ নয়।যা খাচ্ছেন,তা সুষম পরিমাণে খান।
তাহলে রুটির বিকল্প কি?
রুটি ও ভাত একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।এমন অবস্থায় একদিন ভাত খান পরের দিন রুটি।আর রুটিও খান অল্প পরিমাণে।কোনও দিনে ২ থেকে ৩ টির বেশি রুটি না খাওয়াই ভালো।বরং ক্ষুধার্ত থাকলে শাক-সবজি, মাছ-মাংস খেয়ে পেট ভরিয়ে নিন।এটি আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য পথ তৈরি করবে।এমনকি ছোট-বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণ কমে যাবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment