বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে স-হবাস, বিয়ে! স্বামী অগ্নিদেবকে খোলা চিঠি সুদীপার
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৬ ফেব্রুয়ারি: জি বাংলার সুদীপার রান্নাঘর অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। কখনও বেফাঁস মন্তব্য করার জন্য, কখনও আবার শাড়ির লাইভে আসার জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করার সময়ও সুদীপাকে শুনতে হয়েছিল নিন্দা। এবার স্বামীর জন্মদিন উপলক্ষে নিজের মনের সব কথা উজাড় করে চিঠির আকারে লিখে দিলেন সুদীপা। কী লিখলেন তিনি?
কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে
ধারাবাহিক চলাকালীন সুদীপা এবং অগ্নিদেব কাছাকাছি এসেছিলেন। তখন অগ্নিদেব ছিলেন বিবাহিত কিন্তু সুদীপার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বাঁধন আলগা হয়ে যায় অগ্নিদেবের। অগ্নিদেবের প্রথম বিয়ে ভাঙার পেছনে সুদীপার কোনও অবদান না থাকা সত্ত্বেও তাকে শুনতে হয়েছে ‘ঘর ভাঙ্গানি’ কটুক্তি।
অগ্নিদেবকে বিয়ে করে একাধিক কটুক্তি কপালে জুটলেও অগ্নিদেবের প্রথম সন্তান আকাশের সঙ্গে কিন্তু বেশ ভাব সুদীপার। আকাশ যখন বোর্ডিং স্কুলে পড়ে, তখন আকাশের বাবার জীবনে এসেছিলেন সুদীপা। ২০১০ সালে অগ্নিদেব এবং সুদীপা ঘরোয়া বিয়ে করেছিলেন এবং প্রায় ৮ বছর সহবাসের পর অবশেষে ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তারা।
প্রথম পক্ষের সন্তানকেও ভীষণ ভালোবাসেন অভিনেত্রী
আজ স্বামী অগ্নিদেব এবং একমাত্র ছেলে আদিদেবকে নিয়ে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। অগ্নিদেবের প্রথম সন্তান তো বটেই, পরিবারের সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে থাকেন তিনি। দাদা আকাশ তো ভাই অন্ত প্রাণ। অন্যদিকে আদিদেবও বাবার থেকে বেশি দাদাকেই ভালোবাসে। শ্বশুর বাড়ির সকলকে নিয়ে সুখী ঘরণী সুদীপা। অগ্নিদেবকে পেয়ে তিনি কতটা সুখী, তা সম্প্রতি প্রকাশ পেল অভিনেত্রীর পোস্ট করা একটি লেখা দেখে।
স্বামী অগ্নিদেবের জন্মদিন উপলক্ষে নিজের মন উজাড় করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন অভিনেত্রী। সুদীপা লিখেছেন, আমার ভীষণ গুণী বরকে জন্মদিনের একরাশ শুভেচ্ছা। আমি ভীষণ সৌভাগ্যবতী যে একজনের মধ্যে স্বামী এবং প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছি আমি। আমার সঙ্গে এভাবে থাকার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।
অগ্নিদেবকে পারফেকশনিস্ট বর আখ্যা দিয়ে সুদীপা লেখেন, অগ্নিদেবই শিখিয়েছে আমার কেমন হওয়া উচিত। ওই আমায় শিখিয়েছে আমার কী ধরনের পোশাক পরা উচিত। ওই আমায় শিখিয়েছে আমার ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত। শিখিয়েছে কীভাবে শোবো, খাবো, প্রার্থনা করব। এক কথায় ও হলো পারফেকশনিস্ট।
No comments:
Post a Comment