গ্রীষ্মের ছুটিতে শিশুদের ৬ উপায়ে ব্যস্ত রাখুন, খেলার ছলেই শিখবে নতুন জিনিস
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ মার্চ: সারা বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, গ্রীষ্মের ছুটি শিশুদের মজা করার সময়। এই সময়ে, পড়াশোনার ঝামেলা থেকে দূরে, বেশিরভাগ শিশু তাদের সময় কাটায় খেলাধুলা এবং লাফিয়ে। আপনি চাইলে গ্রীষ্মের ছুটিতে আপনার সন্তানদের এমন কিছু কাজে নিয়োজিত করতে পারেন, যাতে তাআর সারাজীবন উপকৃত হবে।
শিশুরা খেলার সময় নতুন জিনিস শিখবে এবং এর জন্য আপনাকে কোনও সময় দিতে হবে না। শিশুরা মজা করার সময় সহজেই জিনিস শিখে এবং শিশুরা নতুন কার্যকলাপ পেয়ে বিরক্ত বোধও করবে না।
আপনার সন্তানকে ৬টি উপায়ে নিযুক্ত করুন
শখের ক্রিয়াকলাপ - শিশুদের জন্য, গ্রীষ্মের ছুটির সময় হল যখন তারা যতটা চায় ততটা অন্বেষণ করতে পারে। এই সময়ে, তারা তাদের পছন্দের কাজে নিযুক্ত হতে পারে। তারা যদি নাচ, ছবি আঁকা, গানের মতো জিনিসের প্রতি অনুরাগী হয়, তাহলে তাদের সেই সম্পর্কিত কাজে যুক্ত করুন। যদি ইচ্ছা হয়, তাদের এই জন্য একটি ক্লাসে পাঠানো যেতে পারে।
সাঁতার শেখান - সাঁতার শরীরের জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম। শুধু তাই নয়, কঠিন সময়েও সাঁতার খুব উপকারী হতে পারে। শিশুদের সাঁতার কাটার সেরা সময় হল গ্রীষ্মকাল। এ জন্য অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের অধীনে সাঁতার শেখাতে পারেন।
সামার ক্যাম্প - আপনি যদি চান আপনার শিশু গ্রীষ্মের ছুটি অবাধে উপভোগ করুক, তাহলে আপনি তাকে সামার ক্যাম্পে পাঠাতে পারেন। এখানে তারা অনেক মজার ক্রিয়াকলাপ সহ শেখার সুযোগ পাবে। এখানে শিশুরা শিখতে এবং নতুন বন্ধু তৈরি করার সময় মজা করবে।
রান্না - অনেক শিশুই রান্না করতে পছন্দ করে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে যাওয়া শিশুদের জন্য রান্না জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মের ছুটিতে, আপনি তাদের বাড়িতে রান্না শেখাতে পারেন। আপনার সন্তানের মধ্যে প্রতিভা দেখতে পেলে তাকে যে কোনও ক্লাসে পাঠানো যেতে পারে।
বাগান করা - শিশুকে তার অবসর সময়ে নিযুক্ত করার জন্য বাগান করা একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এর মাধ্যমে শিশুরা আমাদের চারপাশের গাছপালা সম্পর্কে তথ্য পাবে এবং তাদের গুরুত্ব জানতে পারবে। শুধু তাই নয়, বাগান করার মাধ্যমে তারা ফল ও সবজি সম্পর্কেও ভালো জ্ঞান পাবেন।
পারিবারিক সময়- যেসকল শিশু পড়াশোনার কারণে সারা বছর ব্যস্ত থাকে তারা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে সময় দিতে পারে না, গ্রীষ্মের ছুটিতে, তাদের কাছের আত্মীয়দের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ দিন। এর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হবে। এতে শিশুদের সামাজিক বন্ধন বাড়বে।
No comments:
Post a Comment