হোলিতে এই শুভ জিনিসগুলি বাড়িতে নিয়ে আসুন, দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন সারা বছর
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ মার্চ: রঙের উৎসব হোলি হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। পঞ্চাং অনুসারে, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রঙ্গোৎসব পালিত হয়। এই বছর হোলি ২৫ মার্চ পড়ছে। ২৪ শে মার্চ হোলিকা দহন অনুষ্ঠিত হবে। মহাশিবরাত্রি শেষ হলেই শুরু হয় হোলির প্রস্তুতি। লোকেরা ঘর সাজাতে শুরু করেন, খাবারের তালিকা তৈরি করেন এবং কেনাকাটা শুরু করেন। বাস্তুশাস্ত্রে এমন কিছু জিনিসের উল্লেখ আছে যেগুলো এই সময়ে বাড়িতে আনা খুবই শুভ। তাই হোলির আগে এই জিনিসগুলি আপনার বাড়িতে আনতে পারেন। হোলাষ্টক এবং হোলির মধ্যে আপনি এই জিনিসগুলি কিনতে পারেন। এতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকবে এবং সারা বছর ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকবে। আসুন জেনে নেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে-
হোলির আগে এই শুভ জিনিসগুলি বাড়িতে নিয়ে আসুন-
তোরণ: তোরণ বা বন্দনওয়ারকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। উৎসব ও শুভ অনুষ্ঠানের সময় প্রধান ফটকে তোরণ স্থাপন করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে তোরণ স্থাপন করলে দেবী লক্ষ্মীও ঘরে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে হোলাষ্টক থেকে হোলি পর্যন্ত আপনার বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে তোরণ লাগাতে হবে।
বাঁশ গাছ: বাস্তুশাস্ত্রে বাঁশ গাছকে ইতিবাচক শক্তির সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হোলির আগে আপনার বাড়িতে বাঁশ গাছ আনতে পারেন। এতে সমস্ত নেতিবাচকতা দূর হবে এবং বাড়ির সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
রৌপ্য মুদ্রা: হোলির কেনাকাটা করার সময় অবশ্যই একটি রৌপ্য মুদ্রা কিনুন। রৌপ্য মুদ্রার পুজো করে লাল বা হলুদ রঙের কাপড়ে বেঁধে লকারে রাখুন। এতে করে আর্থিক সমস্যা দূর হয়।
কচ্ছপ: বাস্তুশাস্ত্র ও হিন্দু ধর্মে কাছিমকে পবিত্র এবং ধাতুকে শুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে হোলিতে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন ধাতব কাছিম। তবে, শুভর জন্য, আপনাকে মনে রাখতে হবে যে কচ্ছপের পিঠে শ্রীযন্ত্র বা কুম্বর যন্ত্র লেখা আছে। এমন ধাতব কচ্ছপ বাড়িতে এনে পূজার স্থানেও স্থাপন করতে পারেন। মনে করা হয় এর কারণেই ঘরে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস হয়।
No comments:
Post a Comment