লকেটের বিরুদ্ধে পোস্টার
নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি, ১৪ মার্চ: বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হুগলির চন্দননগরে। বুধবার এই পোস্টার ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শোরগোল বিজেপিতে। কে বা কারা ওই পোস্টার টাঙিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে পোস্টার যাঁরা টাঙিয়েছেন, নিজেদের বিক্ষুব্ধ মন্ডল সভাপতি বলে দাবী করেছেন তাঁরা। পোস্টারে লকেটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগরের বোড়াইচণ্ডী তলা সহ একাধিক জায়গায় ওই পোস্টার চোখে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা ঐ পোস্টারে লকেটের হাত থেকে বাঁচানোর দাবী করা হয়েছে, গত পাঁচ বছর এলাকায় আসেননি হুগলির সাংসদ লকেট। শুধু তাই নয়, তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও তোলা হয়েছে পোস্টারে।
ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, "মোদীজি আমাদের বাঁচান লকেট চ্যাটার্জীর হাত থেকে। বর্তমানে আমরা মন্ডল সভাপতির দায়িত্বে কাজ করছি। এর আগেও বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছি এমনকি নিজের বিধানসভায় ২০২১শে কাজ করেও সময় বার করে চুঁচুড়ায় গিয়ে লকেট চ্যাটার্জী'র হয়ে প্রচার করেছি। ৫ বছর উনি নিজে আমাদের মন্ডলে প্রায় আসেইনি তাতে আমাদের কি দোষ? এখন উনি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে আমাদের ধমকি দিচ্ছে ভোটের পর দেখে নেবো বলছে। আমরা জেলার একাধিক নেতৃত্বদের এবং রাজ্য থেকে এই জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বদের জানিয়েছি। কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমা করবেন বাধ্য হয়ে খোলা চিঠি লিখলাম আমরা মন্ডল সভাপতিরা এবং তা প্রকাশ করলাম। ক্ষমা করবেন মোদীজি।
বিষয়টি তৃণমূলের কারসাজি বলেই দাবী লকেটের। তিনি বলেন, 'তৃণমূল ভয় পেয়েছে। নিজের নাম না লিখে আমাদের মন্ডল সভাপতিদের নাম করে এসব করছে। এরা দেখছে সিএএ হয়েছে, ৩৭০ ধারা বিলীন হয়েছে, মহিলাদের জন্য মোদীজি এতকিছু করেছে, বুঝতে পারছে হুগলিতে তৃণমূলের মাটি আরও নড়বড়ে হয়ে গেছে। এসবে কিছুই যায়-আসবে না।'
চূঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার পাল্টা বলেন, 'আমরা তো বলছি না, ওদের মন্ডল সভাপতিরা বলছেন লকেটের হাত থেকে বাঁচান, খোলা চিঠি। তৃণমূলের খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই লকেটকে নিয়ে ভাবতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমরা মোদীজিকে নিয়ে ভাবি, লকেটকে নিয়ে ভাবি না। মোদীজির সাথে আমাদের লড়াই। লকেট বাচ্চা মেয়ে ওঁর সাথে কি লড়াই!' লকেটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'বিজেপির লোকেরা ওঁকে চাইছে না।'
উল্লেখ্য, নাম ঘোষণার আগে থেকেই লকেটকে নিয়ে বিজেপির কোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। লকেট প্রার্থী হওয়ার পরেও কর্মীদের মধ্যে অসন্তোস অব্যাহত।
No comments:
Post a Comment