পুরনো ফোনকে ব্যবহার করুন এভাবে, বাঁচান হাজার হাজার টাকা
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ১৪ই মার্চ, কলকাতা: পুরনো ফোন ফেলে দিচ্ছেন? ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন এসব ক্ষেত্রে! বাঁচবে হাজার হাজার টাকা। মিলবে উপকারও। ভাবছেন, কি যা-তা বলছি, বিশদ জানতে দেখুন সম্পূর্ণ এই লেখাটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট হচ্ছে প্রযুক্তিও। এককালে কিপ্যাড ফোনই ব্যবহার করতেন সকলে। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে এলো টাচস্ক্রিনের স্মার্টফোন। যত দিন যাচ্ছে ততই উন্নত প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক হয়ে উঠছে মোবাইল। আর বাদের খাতায় চলে যাচ্ছে পুরনো কিপ্যাড ফোন গুলি। সেগুলির জায়গা হচ্ছে ময়লার স্তূপে। সত্যই তো ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কিই বা করা যায় ওই ফোনগুলি দিয়ে! তাছাড়া এতে পরিবেশও বেশ নোংরা ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আচ্ছা, যদি অব্যবহৃত ফোনগুলি আবার নতুন উপায়ে ব্যবহার করা যেতো তাহলে কতই না ভালো হতো। এবার থেকে আবারও কাজে লাগান পুরনো ফোনগুলি। বাঁচবে হাজার হাজার টাকা। কিন্তু কিভাবে কাজে লাগাবেন এই ফোনগুলি? জানতে অবশ্যই এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ে ফেলুন।
অ্যালার্ম ক্লক: দৈনন্দিন জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এটি। এটি না হলে সর্বনাশ! তাহলে পুরনো ফোনকে অ্যালার্ম ক্লক হিসেবে ব্যবহার করা যেতেই পারে। এর জন্য শুধু অ্যালার্ম ক্লক এক্সট্রিম স্লিপ এজ এন্ড্রয়েড এবং ভয়েস নোস অ্যালার্ম এর মত অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এতে ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে অ্যালার্ম নোজ মোডে রাখা যায়।
গেম: একটু সময় পেলেই ফোনে গেম খেলতে কে না পছন্দ করে। মাইন্ড রিফ্রেশ করার অন্যতম পথ এটি। কিন্তু এটা জানা কথা যে, ফোনে গেম খেললে তার ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ফলে অন্য কাজ আর করা যায় না। তাই কারোর যদি গেম খেলার নেশা থাকে তারা শুধু পুরনো ফোনকে গেমিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
জিপিএস ট্র্যাকার: বর্তমানে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই এক্ষেত্রে পুরনো স্মার্টফোনকে গাড়িতে নেভিগেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল জিপিএস স্ট্রাকারের অনেক অ্যাপ রয়েছে। পুরনো ফোনে সেগুলি ডাউনলোড করে নিলেই এটি জিপিএস ট্র্যাকারের কাজ করবে।
রিমোট: পুরনো স্মার্টফোনকে রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য ইউনিফায়েড রিমোট, ইউনিভার্সাল টিভি রিমোট বা গ্যালাক্সি ইউনিভার্সাল রিমোটের মত অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এই অ্যাপগুলি বিল্ট ইন ইনফ্রারেড সেন্সারের মাধ্যমে ফোনকে রিমোট কন্ট্রোলে বদলে দেবে।
ই রিডার: অনেকেই বই পড়তে ভালোবাসেন। তাছাড়া এখন একাধিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় নানা অ্যাপএ বইয়ের পাতায় ঘন্টার পর ঘন্টা বুঁদ হয়ে থাকেন অনেকেই। এক্ষেত্রে তারা পুরনো ফোনকে ই রিডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সিসিটিভি: এছাড়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো আপনি পুরনো ফোনকে সিসিটিভি হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন। এতে হাজার হাজার টাকা বেঁচে যাবে। আলমারিতে থাকা পুরনো ফোনকেই নজরদারি ক্যামেরায় রূপান্তরিত করা সম্ভব। এর জন্য ফোনে আলফ্রেড হোম সিকিউরিটি ক্যামেরা ডাউনলোড করতে হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে দুটো ফোনেই যেন একই গুগুল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করা হয়। এবার পুরনো স্মার্টফোনে ক্যামেরা মোড এবং নতুন ফোনকে ভিউ মোডে রাখতে হবে। ব্যাস তাহলেই সিসিটিভি তৈরি। এবার পুরনো স্মার্টফোনটিকে ঘরের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় রাখলেই সবকিছু দেখা যাবে নতুন স্মার্টফোনে।
No comments:
Post a Comment