সরকারি কাজে তোলা চেয়ে গ্ৰেফতার ৪, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 27 April 2024

সরকারি কাজে তোলা চেয়ে গ্ৰেফতার ৪, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ


সরকারি কাজে তোলা চেয়ে গ্ৰেফতার ৪, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৭ এপ্রিল: সরকারি কাজে ছয় লক্ষ টাকা তোলা দাবী করে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি ঠিকাদারকে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার প্রাক্কালে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত গ্রেফতার অভিযুক্তরা, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ। 'সন্দেশখালির মতো সব এলাকায় অস্ত্রের ভাণ্ডার', অভিযোগ বিজেপির। পাল্টা তৃণমূল। আইসির নেতৃত্বে আরও জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 


 বন্দুক ঠেকিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার এক দুষ্কৃতী সহ তার তিন সহযোগী। সরকারি কাজে বাধাদান করে ঠিকাদারের কাছে ৬ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে অভিযোগ পেয়েই তৎপর পুলিশ। দ্রুত গ্রেফতার অভিযুক্তরা। 


একদিকে যখন দক্ষিণে আবু তাহেরের বাড়ির অস্ত্র-ভাণ্ডার নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তখনই উত্তরের মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ সহ গ্রেফতার আবু হায়াত। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে সন্দেশখালির ইস্যু টেনে খোঁচা বিরোধীদের। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দেগুন মুসলিমপুর এলাকায় পূর্ত দফতরের অধীনে একটি সেতু তৈরির কাজ চলছে। অভিযোগ, সেখানে কাজ চলাকালীন বন্দুক নিয়ে ঠিকাদারকে হুমকি দিয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ৬ লক্ষ টাকা তোলা দাবী করে তারা। 


ঠিকাদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আবু হায়াত। বাড়ি চাঁচল থানার রণঘাট এলাকায়। সাথে অভিযুক্ত ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই আবু হায়াত এবং তার দলবল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় তোলাবাজি করত। তাদের টার্গেটে থাকত বড় ব্যবসায়ী এবং ঠিকাদাররা। কোথাও বড় কোনও কাজ হলেই হুমকি দিয়ে তোলা আদায়ের জন্য হাজির হয়ে যেত তারা। আগামী ৩০ তারিখ হরিশ্চন্দ্রপুরে জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে আইসি মনোজিৎ সরকারের নেতৃত্বে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। নাকা পয়েন্ট থেকে শুরু করে এলাকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এদিকে এই ঘটনায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনেছে বিজেপি। 


বিজেপির অভিযোগ, 'হরিশ্চন্দ্রপুরেও সন্দেশখালির মত অস্ত্র ভাণ্ডার আছে। তাই দুষ্কৃতীরা এত সহজে অস্ত্র পেয়ে যায়। এই ধরনের তোলাবাজরা চলে তৃণমূলের মদতে।' যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবী, 'সন্দেশখালি সাজানো ঘটনা। প্রত্যেক জায়গায় পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়। বিজেপি শুধু প্রচারে থাকার জন্য এই ধরনের রাজনীতি করে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad