স্বাদের পাশাপাশি ঔষধিয় গুণেও ভরপুর শুদ্ধ গরুর দুধের ঘি
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ এপ্রিল: গরুর দুধের ঘি-এর এমন ঔষধি গুণ রয়েছে যা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না।এমনকি এতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।আপনি যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন,ঘি দিয়ে হবন করলে প্রায় ১ টন তাজা অক্সিজেন তৈরি হয়।এই কারণেই মন্দিরে গরুর দুধের ঘি-র প্রদীপ জ্বালানো এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যজ্ঞ করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে।
গরুর দুধের ঘি-এর এমনই কিছু ব্যবহার যা আপনাকে আর কখনো ঘি থেকে দূরে থাকতে দেবে না -
গরুর দুধের ঘি নাকে দিলে মানসিক রোগ নিরাময় হয় এবং যেকোনও ধরনের অ্যালার্জিও দূর হয়।এই ঘি নাকে দিলে প্যারালাইসিস সেরে যায়।ঘি ও চিনি খাওয়ালে মদ,ভাং ও গাঁজার নেশা কমে যায়।
নাকে গরুর দুধের ঘি লাগালে অপারেশন ছাড়াই কানের পর্দা সেরে যায় বলে মনে করা হয়।নাকে এই ঘি দিলে নাকের শুষ্কতা দূর হয় এবং মন সতেজ হয়।এমনকি নাকে গরুর ঘি দিলে কোমা থেকেও বের হয়ে চেতনা ফিরে আসে।
নাকে গরুর দুধের ঘি লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।গরুর ঘি নাকে দিলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া হলে গরুর ঘি মালিশ করলে জ্বালাপোড়া সেরে যায়।হেঁচকি না থামলে আধা চা চামচ গরুর দুধের ঘি খান,হেঁচকি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে।নিয়মিত এই ঘি খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।
গরুর দুধের ঘি শক্তি বাড়ায় এবং শারীরিক ও মানসিক শক্তিও বাড়ায়।এই ঘি দিয়ে শিশুদের বুকে ও পিঠে মালিশ করলে কাশির সমস্যা দূর হয়।খুব দুর্বল মনে হলে এক গ্লাস দুধে এক চামচ গরুর ঘি ও মিছরি মিশিয়ে পান করুন।
গরুর দুধের ঘি শুধু ক্যানসার হওয়াই প্রতিরোধ করে না আশ্চর্যজনকভাবে এই রোগের বিস্তারও রোধ করে।দেশি গরুর দুধের ঘি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার অনন্য ক্ষমতা রাখে। এটি খেলে স্তন ও অন্ত্রের বিপজ্জনক ক্যান্সার এড়ানো যায়।
যে ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত এবং চর্বি খাওয়া নিষেধ, তার উচিৎ গরুর দুধের ঘি খাওয়া।এতে হার্ট শক্তিশালী হয়।
ঘি,খোসাসহ কালো ছোলার গুঁড়ো এবং গুঁড়ো চিনি (বুরা) সমপরিমাণে মিশিয়ে লাড্ডুতৈরি করে নিন।সকালে খালি পেটে একটি লাড্ডু ভালো করে চিবিয়ে খেলে এবং এক গ্লাস মিষ্টি উষ্ণ দুধ পান করলে মহিলাদের লিউকোরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পুরুষদের শরীর মোটা, সতেজ,সুঠাম ও শক্তিশালী হয়।
ফোসকায় দেশি গরুর দুধের ঘি লাগালে আরাম পাওয়া যায়। সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে ১০০-১৫০ গ্রাম ঘি খাওয়ান এবং তার উপরে যতটা সম্ভব হালকা গরম জল পান করান,এতে বমি ও ডায়রিয়া হবে কিন্তু সাপের বিষও কমে যাবে।
সকাল-সন্ধ্যা নাকে দুই ফোঁটা দেশি গরুর দুধের ঘি দিলে মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম হয়।মাথাব্যথা হলে,শরীরে তাপ অনুভব করলে পায়ের তলায় এই ঘি মালিশ করুন, মাথাব্যথা সেরে যাবে।
মনে রাখবেন গরুর ঘি খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না।এতে ওজনও বাড়ে না,বরং ওজনে ভারসাম্য বজায় থাকে।অর্থাৎ দুর্বল ব্যক্তির ওজন বাড়ে,স্থূল ব্যক্তির স্থূলতা (ওজন) কমে।
এক চামচ খাঁটি গরুর দুধের ঘি,এক চামচ চিনির গুঁড়ো ও ১/৪ চামচ গোলমরিচ পিষে মিশিয়ে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে খালি পেটে চাটলে এবং তার পরে গরম মিষ্টি দুধ পান করলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
গরুর দুধের ঘি ঠাণ্ডা জলে বিট করে তারপর জল থেকে ঘি আলাদা করুন এই প্রক্রিয়াটি প্রায় একশবার করুন এবং এতে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে নিন।এই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ঘি একটি কার্যকর ওষুধে রূপান্তরিত হয়,যা ত্বক সম্পর্কিত সমস্ত রোগের জন্য একটি অলৌকিক মলম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সোরিয়াসিসের জন্যও কার্যকর।
গরুর দুধের ঘি একটি ভালো (LDL) কোলেস্টেরল।উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের শুধুমাত্র গরুর দুধের ঘি খাওয়া উচিৎ।এটি একটি খুব ভালো টনিকও বটে।
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস মিষ্টি দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরের শুষ্কতা ও দুর্বলতা দূর হয়,গভীর ঘুমে সাহায্য করে,হাড় মজবুত করে এবং সকালে মল পরিষ্কার হয়।
যদি একজন সুস্থ মানুষও প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নিয়মিতভাবে উভয় নাকের ছিদ্রে হালকা গরম দেশি গরুর দুধের ঘি লাগান তাহলে তা গভীর ঘুমে সাহায্য করবে,নাক ডাকা বন্ধ করবে,স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করবে এবং শরীরকে আরও অনেক রোগ থেকে রক্ষা করবে।এর জন্য বিছানায় শুয়ে দুই ফোঁটা ঘি দুই নাসারন্ধ্রে দিয়ে পাঁচ মিনিট সোজা হয়ে শুয়ে থাকুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment