'বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে', খোঁচা প্রসূনের! তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা দিলেন রথীন

 

'বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে', খোঁচা প্রসূনের! তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা দিলেন রথীন 

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ২৮ এপ্রিল: 'বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে', প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের খোঁচা প্রসূনের। কটাক্ষ উপেক্ষা করে তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের। 

তাপ প্রবাহের লাল সতর্কতা জারি থাকলেও তা উপেক্ষা করেই রবিবার সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন ভোট প্রার্থীরা। আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তাই রবিবার ছুটির দিনটিকে কাজে লাগাতে মরিয়া শাসক থেকে বিরোধী সব দলের প্রার্থীরাই। একদিকে পঞ্চানন তলা এলাকাতে জনসংযোগ করছেন জোড়া ফুলের বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরদিকে সাঁকরাইল ব্লকের আন্দুল স্টেশন রোড এলাকাতে জনসংযোগ সারলেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। 

ভোটের আবহে তীব্র গরমের হাত থেকে সতর্ক থাকার বার্তাও দিচ্ছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগের মধ্যেই বিজেপিকে নিশানা করে প্রসূনের মন্তব্য, আমরা বাংলার লোককেই চাই, বাংলার বাইরে থেকে এসে বাংলাতে কাউকে মাতব্বরি করতে দেব না। এখানে বাঙালি, শিখ, সাঁই, মুসলিম সব এক হয়ে চলে।' বিরোধীরা বলছেন, এবার ৪০০ পার', সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, 'পাগল হয়ে গেছে, সব বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে। কোনও লাভ নেই। নির্বাচনের পর বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না।'

এদিকে সাংসদের কটাক্ষকে গুরুত্ব না দিয়ে জনসংযোগে বেরিয়ে গরমে সুস্থ থাকার টোটকা দিলেন রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'এই গরমে যেন সকলে হালকা পোশাক পড়েন, সরাসরি রোদের হাত থেকে নিজেকে যতটা রক্ষা করা যায়, ওআরএস, ডাবের জলের মতো পানীয় খেতে হবে। এটা আমাদের দলের তো বটেই, বিরোধীদের প্রতি আমার নিবেদন।' 

এছাড়াও নিজের জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পদ্ম শিবিরের প্রার্থী রথীন। 'পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে বারুদের স্তুপে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানেই খুঁজবে সন্দেশখালি বেরোবে। গুজরাটে সেভাবে ভোট হয়, পশ্চিমবঙ্গে শান্তিতে ভোট হওয়া সম্ভব নয়', এমনই দাবী করেন রথীন চক্রবর্তী।

এর পাশাপাশি রবিবারের প্রচারে শাসক দলের জনসংযোগ কর্মসূচিতেও দেখা গেল এক অদ্ভুত চিত্র। একই কর্মসূচিতে প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকলেও, তারা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেই চললেন। একসঙ্গে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল না প্রার্থী ও মন্ত্রীকে। প্রায় ৫০ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখলেন প্রসূন ও অরূপ। এই বিষয়টি নিয়েও কানাঘুঁষো চলছে শাসক দলের অভ্যন্তরে।