শ্রমিকদের সই নকল করে জব কার্ডের টাকা তোলার নালিশ, ধৃত দুই সুপারভাইজার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 1 April 2024

শ্রমিকদের সই নকল করে জব কার্ডের টাকা তোলার নালিশ, ধৃত দুই সুপারভাইজার

 


শ্রমিকদের সই নকল করে জব কার্ডের টাকা তোলার নালিশ, ধৃত দুই সুপারভাইজার 


নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০১ এপ্রিল: কাজ করা শ্রমিকদের সই জাল করে কাজ না করা শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা ঢোকানোর অভিযোগ উঠল দুই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে।গাইঘাটা থানার অন্তর্গত সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। শনিবার গাইঘাটার বিডিও মিলাদ্রী সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে দুই সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রসেনজিৎ ঘোষ ও রুপালি মণ্ডল। তাদের বাড়ি গাইঘাটা থানার অন্তর্গত সুফিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর ও পশ্চিম বারাসত এলাকার। সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুপারভাইজার হিসেবে তারা কাজ করেন।


অভিযোগ, যারা কাজ করেনি তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়েছে ওই দুই সুপারভাইজার। তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জন শ্রমিকের সই জাল করে টাকা তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।


 সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকার বাসিন্দারা এমজি এনআরইজিএ প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকায় কাজ করেছেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। সোমবার কাজ করে টাকা না পাওয়া এবং কাজ করে কম টাকা পাওয়া শ্রমিকরা গাইঘাটা বিডিও অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিডিও নীলাদ্রি সরকারের কাছে তারা স্মারকলিপি জমা দেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, 'যে সব শ্রমিকরা ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেননি, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। যারা কাজ করেছে এমন অনেকেই টাকা পাননি।' এই বিষয়ে বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।


এদিন বিডিও অফিসে আসা শ্রমিকদের অনেকেই জানান, তাদের এলাকার সুপারভাইজার ডলি মণ্ডল তাদের জানিয়েছিল জব কার্ড বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে জব কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তাদের দিতে। পরবর্তী সময়ে তারা লক্ষ্য করেন কারও অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার, কারও অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার টাকা ঢুকেছে। অথচ তারা কাজ করেননি। অভিযোগ, ডলি মণ্ডল তাদের কাছে গিয়ে বলেন ওই টাকা তুলে দিতে হবে। বিনিময়ে ৫০০ টাকা ১০০০ টাকা দেওয়ার কথাও জানায় সে। অভিযুক্তদের পুলিশ নিজেদের হেফাজত নিয়ে তদন্ত শুরু করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad