কী ধরণের ক্যান্সার কেড়ে নিল সুশীল কুমার মোদীর প্রাণ? জেনে নিন কী কী লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৪ মে: বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী সোমবার (১৩ মে) প্রয়াত হন। দিল্লীর এইমস-এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, সুশীল কুমার মোদী প্রায় ছয় মাস আগে ট্যুইট করে নিজের ক্যান্সারের কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে। আসুন জানা যাক তিনি কী ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, এই ক্যান্সারের উপসর্গ কী এবং প্রতিরোধের উপায় কী?
একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী গলার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। এই রোগটি ধীরে ধীরে তাঁর ফুসফুসে পৌঁছেছিল, যার কারণে তাঁর কথা বলতে অসুবিধা হতে শুরু করে। এই কারণেই তিনি লোকসভা নির্বাচনে কোনও ভূমিকা নিতে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি তার ট্যুইটে লিখেছিলেন যে, তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও জানিয়েছেন।
এমন হয় গলার ক্যান্সারের লক্ষণ
একজন ব্যক্তির যদি ঘন ঘন কাশির সমস্যা থাকে এবং খাবার গিলতে অসুবিধা হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাঁর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। এ ধরনের উপসর্গকে একেবারেই উপেক্ষা করা উচিৎ নয়, কারণ গলার ক্যান্সারেও একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। একে খাদ্যনালীর ক্যান্সারও বলা হয়।
এই লক্ষণগুলিও সাধারণ
গলার ক্যান্সারের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির গলার স্বর ভারী হয়ে যায়। পাশাপাশি, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনও ঘটতে শুরু করে। এ ছাড়া খাবার খেতে গিয়ে গলায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে গলা ব্যথার পাশাপাশি ফোলাভাবও দেখা দেয়। ভুক্তভোগীর গলা ব্যথা এবং কানে ব্যথাও ঘন ঘন হয়। কাশির সময় শ্লেষ্মা সহ রক্তও আসে। এছাড়া ওজনও খুব দ্রুত কমতে থাকে।
গলা ক্যান্সারের কারণ কী?
একজন ব্যক্তি যদি ক্রমাগত ধূমপান করেন তবে তিনি গলার ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এছাড়া যারা তামাক সেবন করেন তাদেরও এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি, যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও গলার ক্যান্সার হতে পারে। তবে ভিটামিন এ-এর অভাবেও এই রোগ হতে পারে।
কীভাবে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি?
ক্যান্সার একটি অত্যন্ত মারাত্মক এবং প্রাণহানি করা রোগ। শরীরের কোনও অংশে ক্যান্সার কোষ তৈরি হওয়ার পর এর চিকিৎসা করানো খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। তা না হলে তা ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গলার ক্যান্সার খাদ্যের নলকে ব্লক করে। এ কারণে খাবার খেতে অসুবিধা হয়। দিল্লি এইমস (AIIMS)-এর ডক্টর অভিষেক শঙ্কর জানান, হঠাৎ করে কণ্ঠস্বরে ভারী ভাব বা পরিবর্তন অনুভূত হওয়া, এছাড়াও, যদি গলা খুশখুশ এবং ব্যথা হওয়া বেশ কয়েক দিন ধরে চলতে থাকে, আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। এই ধরনের উপসর্গ উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment