তাপপ্রবাহ কী হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ মে: এপ্রিলের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড তাপের প্রভাব শুরু হয়েছে।দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরও দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে এবং আগামী দিনে তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে।এমনকি ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে মানুষ প্রাণ হারাতে পারে,এমনটাও বলা হয়েছে।বলা হচ্ছে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হৃদরোগের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।আজকে বিস্তারিতভাবে জানা যাক তাপপ্রবাহ এবং হার্ট অ্যাটাকের সংযোগ এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা।
তাপপ্রবাহ হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের কারণ -
গ্রীষ্মের মরসুমে তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।তাপপ্রবাহের কারণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।বাবু ঈশ্বর শরণ হাসপাতালের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ড.সমীর বলেন,“গ্রীষ্মকালে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়।তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হৃদরোগীদের সমস্যাও বাড়ে। তাপ বৃদ্ধির কারণে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যার কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।যারা ইতিমধ্যেই হৃদরোগে ভুগছেন তাদের এই সময়ে নিজেদের যত্ন নেওয়া উচিৎ।”
গ্রীষ্মে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে -
জল পান করুন:
শরীরে জলের অভাবের কারণে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।তাই এই মরসুমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে জল পান করুন।
সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন:
সূর্যের আলো এড়াতে টুপি,ছাতা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
হালকা ডায়েট:
গ্রীষ্মে হালকা এবং ঠাণ্ডা খাবার খান।যেমন- ফল এবং সবজি। যেমন- তরমুজ,শসা,লাউ।
নিয়মিত ব্যায়াম:
নিয়মিত ব্যায়াম হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
শরীর ঠান্ডা রাখুন:
উচ্চ তাপমাত্রার সময়,ঠান্ডা জল পান করার চেষ্টা করুন এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখুন।
সতর্কতা অবলম্বন করুন:
গ্রীষ্মে রোদে বেশি সময় ব্যয় করা এড়িয়ে চলুন।
তাপপ্রবাহ প্রতিরোধের টিপস -
তাপপ্রবাহ প্রতিরোধের জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি।এর জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন এবং প্রয়োজনে ওআরএস গ্রহণ করুন।এই ঋতুতে অসাবধানতার কারণে আপনার স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।গ্রীষ্মের মরসুমে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ডায়রিয়া, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা,স্ট্রোক এবং জলশূন্যতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।তাপপ্রবাহ এড়াতে জল পান ছাড়াও খাদ্যতালিকা ও জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়েরও খেয়াল রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment