টানা ৪ দিন বৃষ্টি! জারি হাই অ্যালার্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৫ মে, কলকাতা : বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সাগরে গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এ কথা জানিয়েছে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। এরপর রবিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল ও বাংলার তৎসংলগ্ন উপকূল অতিক্রম করে বাংলাদেশের সাগর দ্বীপ ও খেপুপাড়ায় পৌঁছাবে।
আজ থেকে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বহু উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে শনিবার দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দুই জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
রবিবার দুটি ২৪ পরগনায় ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি খুব ভারী বৃষ্টির সাথে ঘন্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হতে পারে। ২৬ এবং ২৭ তারিখে দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ছয় থেকে সাতটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই কমলা সতর্কতা ইতিমধ্যেই রয়েছে৷
উত্তরাঞ্চল ছাড়া উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর আবহাওয়া আজ বেশ শুষ্ক থাকবে। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে দমকা হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment