পালংশাকের চেয়ে বেশি উপকারী চাইনিজ বাঁধাকপি
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ মে: আপনি নিশ্চয়ই প্রচুর ফুলকপি এবং বাঁধাকপি খেয়েছেন।কিন্তু আপনি কি কখনও চাইনিজ বাঁধাকপি খেয়েছেন?সম্ভবত বেশিরভাগ মানুষের উত্তর হবে না।চীনা বাঁধাকপি পালং শাকের চেয়ে বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়।কারণ এতে পালং শাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি এবং এ রয়েছে।এই সবজি হাড় মজবুত করতে এবং হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।লখনউ রিজেন্সি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী এর আরও অনেক সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত বলছেন।
নাম অনুসারে,এই সবজিটি প্রথম চীনে উৎপাদিত হয়েছিল। তারপরে এটি ভারত সহ সারা বিশ্বে জন্মাতে শুরু করে।চীনা বাঁধাকপি নাপা বাঁধাকপি,সেলারি বাঁধাকপি,বোক চয় এবং পোক চোই নামেও পরিচিত।চীনা বাঁধাকপিতে বাঁধাকপির চেয়ে বেশি ভিটামিন এ রয়েছে।এটি কাঁচা খাওয়ার সময় সুস্বাদু,খাস্তা ও মিষ্টি হয় এবং রান্না করা হলে নরম হয়ে যায়।এটি ভাজা, সেদ্ধ এবং গ্রিল করেও খাওয়া যায়।
চাইনিজ বাঁধাকপি হাড়ের জন্য একটি বর -
খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা এই বাঁধাকপিকে শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করেন।ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী বলেন, চাইনিজ বাঁধাকপিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,জিঙ্ক এবং ফসফরাস রয়েছে।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
হার্টের ক্ষতি প্রতিরোধ করে -
চাইনিজ বাঁধাকপিতে হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।তাই এই চাইনিজ বাঁধাকপি খেলে ধমনীর ক্ষতিকারী উপাদান দুর্বল হয়ে যায়,যার ফলে রক্ত চলাচল মসৃণ থাকে।এতে হার্ট সুস্থ থাকে।বাঁধাকপি প্রজাতির সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
শরীরের ফোলাভাব কমায় -
চাইনিজ বাঁধাকপি শরীরের ফোলাভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।এই চীনা বাঁধাকপিতে শক্তিশালী কোলিনও পাওয়া যায়।এই উপাদানগুলি শরীরে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরকে সাধারণ রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে -
চাইনিজ বাঁধাকপির রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও রয়েছে।এই চীনা বাঁধাকপিতে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।তাই খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment