বছরে ১০-১২ লক্ষ আয়! এই হলুদ ফুলের চাষে রাখতে হয় বিশেষ নজর
নতুন দিল্লী: জীবনে ফুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফুলের সুগন্ধ এবং রঙ মানুষের জীবনে শক্তি ও উদ্দীপনা যোগায়। ফুল দেখতে যত সুন্দর, এদের চাষ ততি জটিল। জারবেরা তেমনই একটি বিশেষ ফুল। জারবেরা ফুল, যা সূর্যমুখী পরিবার থেকে আসে, চাষ করা খুব কঠিন। বিশেষ করে বুন্দেলখণ্ডের জলবায়ুতে ফুল চাষ করা খুবই কঠিন। কৃষকরা কিছু বিষয় খেয়াল না রাখলে তাঁদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
ঝাঁসির প্রগতিশীল কৃষক অমিত সিং দীর্ঘদিন ধরে জারবেরার চাষ করছেন। তিনি জানান, জারবেরা হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের একটি জাত। গোলাপের তুলনায় এর চাষে অনেক কম রক্ষণাবেক্ষণ জড়িত। তিনি জানান, জারবেরা চাষের সময় শুঁয়োপোকার বিশেষ যত্ন নিতে হয়। সবুজ শুঁয়োপোকা খুব দ্রুত জারবেরা গাছে আক্রমণ করে। ফুল চাষের জন্য নির্মিত পলিহাউসের সমস্যা হল শুঁয়োপোকা যত তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তত তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।
হারভেস্টিংয়ের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
অমিত সিং বলেন, জারবেরা চাষের সময় যেসব পাতা পুরনো হয়ে যায় তা অবিলম্বে তুলে ফেলতে হবে। ফুল তোলার সময় বিশেষ যত্ন নিতে হবে যেন ফুলের ডাল মুকুটসহ বের হয়ে যায়। যদি মুকুটের ফাইবার বের না হয় তবে এটি গাছের জন্য বড় ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে জারবেরা গাছে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকও আক্রমণ করতে পারে।
জারবেরার ফুল ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তৈরি হয়। কৃষকরা এটি ৯০ দিনের মধ্যে হারভেস্টিং করতে পারেন। এক মরসুমে এক বর্গমিটার এলাকা থেকে ২০০ থেকে ২৫০টি ফুল পাওয়া যায়। কৃষকরা ১০ থেকে ১৫টি ফুলের বান্ডিল তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এর চাষ থেকে, কৃষকদের প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় হয়ে যায়। মুম্বাই, কলকাতা, নাগপুর, হায়দ্রাবাদ, দিল্লী, বিশাখাপত্তনম সহ অন্যান্য মহানগরে জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশি।
No comments:
Post a Comment