স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইন্টারনেটে উঁকি? ইডিয়ট সিনড্রোমের শিকার নন তো!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ মে: যেকোনও প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা প্রথমেই গুগল বাবার শরনাপন্ন হই। আর হব নাই বা কেন! ইন্টারনেটে সহজেই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। তবে, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে গুগলের মাধ্যমে যেকোনও প্রশ্নের উত্তর পাই না কেন, আমরা অন্ধভাবে বিশ্বাস করি। এমনকি কেউ কেউ গুগল থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে নিজের চিকিৎসাও শুরু করেন। কিন্তু গুগলের দেওয়া প্রতিটি তথ্যকে সত্য বলে মেনে নেওয়ার ভুলের কখনও কখনও আমাদের অনেক মূল্য দিতে হয়।
গুগলের তথ্যে অন্ধভাবে বিশ্বাস করার অভ্যাস আপনাকে জ্ঞাতসারে বা অজান্তে সমস্যায় ফেলতে পারে। সবকিছুর জন্য যদি গুগলের উত্তরের ওপর আপনি নির্ভরশীল হন তবে এটি আপনার জন্য সমস্যা হতে পারে। সমস্যা আরও বেড়ে গেলে আপনিও ইডিয়ট সিনড্রোমের শিকার হতে পারেন। আসুন জেনে নিই ইডিয়ট সিনড্রোম কী, এর লক্ষণই বা কী।
ইডিয়ট সিনড্রোম কি?
ইডিয়ট সিনড্রোম এমন একটি সমস্যা যেখানে লোকেরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য এবং বিশদ বিবরণের জন্য ডাক্তারের চেয়ে গুগলকে বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এই ধরনের লোকেরা যেকোনও তথ্যের জন্য গুগল যা বলে তা অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন। এই অভ্যাসের নাম দেওয়া হয়েছে ইডিয়ট সিনড্রোম। এখানে ইডিয়ট মানে বোকা বা স্টুপিড নয় বরং ইন্টারনেট ডিরাইভড ইনফরমেশন অবস্ট্রাকশন ট্রিটমেন্ট।
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষই এই রোগের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেক সময় মানুষ ভুল তথ্য সংগ্রহ করে চিকিৎসা শুরু করেষ, যার ফল পরবর্তীতে তাঁদের ভোগ করতে হয়।
ইডিয়ট সিনড্রোমের লক্ষণ
১. এই পরিস্থিতিতে, ব্যক্তি ডাক্তারের চেয়ে গুগল যা বলে, তা বিশ্বাস করতে শুরু করে।
২. গুগলে ছোটখাটো সমস্যা সার্চ করার পর তাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয় এবং এটিকে একটি বড় রোগ হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করে।
৩. গুগল থেকে পছন্দসই উত্তর না পেয়ে, একজন ব্যক্তি উদ্বিগ্ন হতে শুরু করে এবং কখনও কখনও বিষণ্নতায়ও চলে যায়।
৪. ভুল তথ্যের কারণে ব্যক্তি অকারণে চিন্তিত হয়ে পড়ে।
কীভাবে ইডিয়ট সিনড্রোম এড়ানো যায়
১. ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রতিটি তথ্যকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।
২. একজন ডাক্তারের সাথে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনও তথ্য ক্রস-চেক করুন।
৩. শুধুমাত্র ডাক্তারের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য নিন।
৪. আপনি যদি কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য পান তাহলে শুধুমাত্র কোনও মেডিকেল ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করুন।
৫. চিন্তা না করে কোনও তথ্য বিশ্বাস করবেন না।
No comments:
Post a Comment