মুহুর্তেই শেষ ২০০০ প্রাণ! ভয়াবহ ভূমিধসে বিধ্বস্ত পাপুয়া গিনি
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৭ মে: পাপুয়া নিউগিনিতে শুক্রবার আসা ভয়াবহ ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন ২০০০ জনেরও বেশি মানুষ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, ভূমিধসের কারণে দুই হাজারের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবন্ত চাপা পড়েছে। সরকার বলেছে যে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে।
এর আগে, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) পাপুয়া নিউ গিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে ৬৭০ জন মারা যাওয়ার আশঙ্কা করেছিল। সরকারের পরিসংখ্যান জাতিসংঘের এই সংস্থার পরিসংখ্যানের প্রায় তিনগুণ। রবিবার জাতিসংঘের স্থানীয় সমন্বয়কের কাছে একটি চিঠিতে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেছেন, 'ভূমিধসে ২,০০০-এরও বেশি লোককে জীবিত চাপা পড়েছেন এবং বড় ধরনের ধ্বংস হয়েছে৷'
ভূমিধসের পর থেকে হতাহতের সংখ্যার অনুমান ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় এবং কর্তৃপক্ষ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা গণনা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অস্ট্রেলিয়া সোমবার পাপুয়া নিউ গিনির একটি ভূমিধসের স্থানে সহায়তার জন্য বিমান এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনির পাহাড়ি এলাকায় রাতভর বৃষ্টির পর আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, অনেক টন ধ্বংসাবশেষে শত শত গ্ৰামবাসী চাপা পড়েছেন এবং বিপজ্জনকভাবে রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, শুক্রবার থেকে তার আধিকারিকরা তাদের পাপুয়া নিউ গিনির প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। শুক্রবার দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবির প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এঙ্গা প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এই ভূমিধসে নিহত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউ গিনি সরকারের তরফ থেকে জাতিসংঘে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, অন্তত ২ হাজার মানুষ জীবন্ত চাপা পড়েছেন। এছাড়া অনেক ভবন ও বাগানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভূমিধসের কারণে দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। চারটি ফুটবল মাঠের সমান জমি সরে গেছে বলে জানা গেছে। ইয়াম্বলি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। আধিকারিকদের কথা , এই এলাকায় এখনও বিপদ রয়েছে।
ভূমিধস কেন ঘটল?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বড় এলাকায় ভূমিধসের পর ত্রাণকর্মীদেরও সমস্যা হচ্ছে। তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন যে কোথায় খনন শুরু করবেন যাতে মানুষকে বাঁচানো যায়। এই ভূমিধসের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভূমিকম্পই এর কারণ হতে পারে। একই সঙ্গে যে এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিও এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে ভাঙন হয়েছে এবং সে কারণে পাহাড়ের জমি ধসে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment