প্রার্থী কাকলিকে অপহরণ! রেহাই পেলেন না স্বামীও
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৫ মে: ভোটের আগেই চরম উত্তেজনা, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষ ও তাঁর স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে নির্দলের হয়ে মনোনয়ন জমা করেন প্রার্থী কাকলি ঘোষ । এরপরেই সোজা চলে যান বাপের বাড়ি। জানা গিয়েছে, হাবড়া থানার অন্তর্গত কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বামিহাটি এলাকায় তাঁর বাপের বাড়ি। অভিযোগ, তারপরেই রাত দুটো নাগাদ বাড়িতে ১০-১৫ জনের বাইকবাহিনী এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর স্বামীকেও। দুজনেরই ফোন সুইচ অফ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে কাকলি ঘোষের প্রস্তাবক দিলীপ দাস ডিএম অফিসে ইমেইল মারফত একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত সদুত্তর না পাওয়ায় হাবড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। দিলীপের অভিযোগ, প্রার্থীর বাড়ির চারপাশ তৃণমূল কর্মীরা ঘিরে রেখেছে।
দিলীপ বলেন, 'রাতে দুষ্কৃতীরা ওনারা বাপের বাড়ি থেকে তুলে শ্বশুরবাড়ি আসে, সেখানে স্বামী-সন্তান ছিল। ফোন বন্ধ, তাই যোগাযোগ করতে পারছি না। ওঁর নমিনেশন যেন বাতিল না হয় সেই প্রার্থনা করছি। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি, যাতে আমাদের প্রার্থীকে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।' তিনি আরও বলেন, 'মনোনয়ন প্রত্যাহাররের জন্যই চাপের এই রাজনীতি। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্যই এসব করা হচ্ছে।'
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রার্থী অপহরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ও। তবে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, তারা চান দ্রুত যাতে কাকলি ও তার স্বামী সঞ্জীব দুজনেই বাড়িতে ফিরে আসেন।
এদিকে এই বিষয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ সাহা বলেন, 'এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।'
No comments:
Post a Comment