পাহাড়ের গায়ে ঝুলছে হাজারও মৃতদেহ
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ মে:
বিশ্বের একেক অঞ্চল বা দেশের মানুষের শারীরিক গঠন,আচরণ,রীতিনীতি,সংস্কৃতি একেবারেই আলাদা।জন্ম-মৃত্যু একই রকম হলেও এর পরবর্তি আচার-অনুষ্ঠানে আছে নানান বৈচিত্র্য। এই যেমন ধরুন আফ্রিকার এক উপজাতি আছে যারা প্রিয়জন কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ পুড়িয়ে স্যুপ বানিয়ে খেয়ে নেয়।
আবার আরেক জাতি আছে যারা মৃতদেহ মমি করে ঘরেই রেখে দেয়।কেউ আবার মৃতদেহ মাঠে ফেলে রাখে শকুনের খাওয়ার জন্য। তবে এক রহস্যময় স্থান রয়েছে যেখানে হাজার হাজার বছর ধরে পাহাড়ের চূড়া থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মৃতদেহপূর্ন কফিন।শুনতে যতটা ভয়ানক লাগছে,চোখে দেখলে আরও অস্বস্তি হবে।
বিশ্বের ভীতিকর,রহস্যময় অথচ আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে এগুলো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রায় ২০০০বছর আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড় চূড়ায় মৃতদেহ ভরা কফিন ঝোলানোর রীতি ছিল। ঝুলন্ত কফিনের ইতিহাস তিন হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
মানুষের বিশ্বাস এই পদ্ধতিতে কফিনে রাখা মৃতদেহগুলো নাকি অনেক দিন সুরক্ষিত থাকে।বছরের পর বছর কেউ এগুলোর কোনো ক্ষতি করতে পারে না।ঝুলন্ত কফিন নিয়ে নানা বিশ্বাস রয়েছে। কথিত আছে,এক চীনা রাজবংশ এই প্রথার প্রবর্তন করে।সেই সময় বিশ্বাস করা হত যে,এরকম করলে সহজেই প্রকৃতিতে ফিরে আসা যায় এবং দ্রুত স্বর্গ লাভ করা যায়।
তবে এসব কফিন নিয়ে নানান ভয়ানক কাহিনিও প্রচলিত আছে। আজও ওই সব কফিনের কাছে যেতে লোকজন ভয় পান।একবার ভেবে দেখুন,পাহাড় থেকে হাজার হাজার কফিন ঝুলতে দেখলে মনে শঙ্কা তো জাগবেই। তার উপর যদি জানা যায় সেই কফিনের ভিতরে সত্যি সত্যিই লাশ রয়েছে।
No comments:
Post a Comment