বিদ্যুৎবিহীন এলাকা, একজনের মৃত্যু! বাংলা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত রেমাল-এর তাণ্ডব
কলকাতা: বাংলা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। একপ্রকার তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের কারণে বাংলা থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা পর্যন্ত প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড়ো হাওয়া বইছে, যার ফলে গাছ উপড়ে পড়েছে, কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুতের তার পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নেই।
পুলিশ জানিয়েছে যে, ঝড়ের কারণে কলকাতায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়, সেই সময় কংক্রিটের টুকরো পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রেমাল ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের মংলা বন্দর এবং বঙ্গের সাগর দ্বীপপুঞ্জের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে।
ঝড়ের সর্বনাশ
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার সকালে ঝড়টি ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। মাটির ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, মাটির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। ঝড়ের কবলে পড়ে একজনের মৃত্যু হলেও লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। বিদ্যুতের তার পড়ে যাওয়ায় এলাকায় অন্ধকার।
এটিই প্রথম নয় যে পশ্চিমবঙ্গ এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ একসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হচ্ছে। এর আগেও বাংলাদেশ ও ভারত বিপজ্জনক ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগের আগে প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং ঝড় থেকে রক্ষা পেতে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং নয়টি উপকূলীয় জেলা থেকে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। ভারতেও ১ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আট হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতেও নৌবাহিনী ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য জাহাজ, বিমান এবং চিকিত্সা সহায়তা প্রস্তুত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর এবং অন্যান্য জায়গায়ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা জলে ভরে গেছে এবং গাছ উপড়ে গেছে, এনডিআরএফ দল সেগুলো সরাতে ব্যস্ত।
No comments:
Post a Comment