রেমালের তান্ডবে মৃত ৬, ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি

রেমালের তান্ডবে মৃত ৬, ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ মে, কলকাতা : রাজ্যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৯ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  ঝড়ের সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা গেছে দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায়।  এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ২১৪০ টিরও বেশি গাছ উপড়ে গেছে এবং প্রায় ১৭০০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে।

 ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এ পর্যন্ত যে তথ্য বেরিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২৭ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ২৫০০টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান আগামী দুই-একদিন বাড়তে পারে কারণ এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে।

 

 পিটিআই রিপোর্ট অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও অনেক জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে।  প্রশাসন ২ লাখেরও বেশি মানুষকে ১৪৩৮টি নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করেছে।  ৩৪১টি রান্নাঘরের মাধ্যমে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

 ঘূর্ণিঝড় রেমালের যে সব এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর দ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি এবং মন্দারমণি।  ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেড়িবাঁধে ছোটখাটো ফাটল দেখা দিয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা হয়েছে।  তবে এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ভাঙার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।  যা কিছু রিপোর্ট করা হয়েছিল তা গৌণ ছিল এবং অবিলম্বে সংশোধন করা হয়েছিল।

 ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।  কলকাতায় এক , দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় দুই , উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একজন এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।  ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়।

 রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।  এর সংঘর্ষে অনেক এলাকায় প্রবল হাওয়ার পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিও দেখা গেছে।  ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে এনডিআরএফের অনেক দল মোতায়েন করা হয়েছে।  ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও দেখা গেছে।