১৯ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বৈধ! সুপ্রিম কোর্টে মানল এসএসসি
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৭ মে, কলকাতা : ১৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী যোগ্য, শেষমেশ মানল এসএসসি। ১৯ হাজার যোগ্য, এসএসসি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে জানাল। এছাড়াও যোগ্য বেকারদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রায় ৭,০০০ বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, যা স্কুল সার্ভিস কমিশন কার্যত মেনে নিয়েছে। এর ফলে রাজ্যের অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তারা যোগ্য-অযোগ্য বাছার দায়ভার সরাসরি কমিশনের ওপর চাপিয়ে দিল।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার ফের শুনানি হয়। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। গত সপ্তাহে সোমবার অনুষ্ঠিত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য, এসএসসি, কাউন্সিল, চাকরিহারা সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল। মঙ্গলবার যথাসময়ে শুনানি শুরু হওয়ায় প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। আর যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার প্রশ্নে রাজ্য বল ঠেলল এসএসসির কোর্টে। তখন এসএসসি জানায়, তাদের তালিকা আছে, ১৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী যোগ্য! স্বভাবতই আদালত প্রশ্ন করে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য, তাই এসএসসি এখন পর্যন্ত বলতে পারেনি?
আদালতে রাজ্যর দাবী, কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য তা SSC বলতে পারবে। পুরো প্যানেল বাতিল করার প্রয়োজন ছিল কি না তা শুধুমাত্র এসএসসিই বলতে পারবে। অতিরিক্ত শূন্য পদ সৃষ্টির প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, 'কেন রাজ্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল?' আদালত প্রশ্ন তোলে ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অথচ ২০২২ সালে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হল, কিন্তু ততদিনে তো প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ৬ বছর পর, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদের জন্য ওই প্যানেল থেকে লোক নেওয়া হবে কেন? রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন তোলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। ২০২১ সালে হাইকোর্টে মামলা, অভিযোগ দায়েরের পরেই শূন্যপদগুলি তৈরি হয়েছিল বলে দাবী রাজ্যের। রাজ্যের দাবী , অতিরিক্ত ৬ হাজার ৮৬১টি শূন্যপদ সৃষ্টি হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি হাইকোর্টের নির্দেশে। আদালতের প্রশ্ন, 'ওয়েটিং লিস্ট থাকা সত্ত্বেও বাড়তি নিয়োগ কেন?' 'যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়, তাহলে ওয়েটিং লিস্টও বাতিল হয়ে যায়', রাজ্য সরকারকের সওয়ালকেও প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের।
No comments:
Post a Comment