রাজ্যের সরকারি স্কুলে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো শিক্ষার্থী, এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 29 June 2024

রাজ্যের সরকারি স্কুলে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো শিক্ষার্থী, এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের


রাজ্যের সরকারি স্কুলে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো শিক্ষার্থী, এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের 


 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ জুন: সরকারি স্কুলে ভুয়ো ভর্তি, এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শুক্রবার এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ঘটনা হরিয়ানার। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪-১৬ সালের মধ্যে হরিয়ানার সরকারি স্কুলে ৪ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভুয়ো ভর্তি করা হয়। এছাড়া এসব ভুয়ো শিক্ষার্থীদের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। আধিকারিকরা এই তথ্য দিয়েছেন। 


আধিকারিকরা জানান, ২ নভেম্বর, ২০১৯-এ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এবং দাবী করেছিল যে, তদন্তের জন্য বিশাল জনবলের প্রয়োজন হতে পারে এবং তদন্ত রাজ্য পুলিশকে দেওয়া উচিৎ। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সেই আবেদন খারিজ করে দেয়, যার পরে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে।

  

২০১৬ সালে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছিল, তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে যে, সরকারি স্কুলে বিভিন্ন শ্রেণিতে ২২ লক্ষ শিক্ষার্থী ছিল, কিন্তু বাস্তবে মাত্র ১৮ লক্ষ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে এবং চার লক্ষ ভুয়ো ভর্তি হয়েছে।


আদালতকে আরও বলা হয়েছিল যে, সমাজের অনগ্রসর বা দরিদ্র শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্কুল এবং মধ্যাহ্নভোজ প্রকল্পে অংশ নিতে কিছু সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করতেই এই ব্যবস্থা। 


হাইকোর্ট রাজ্যের ভিজিল্যান্সকে চার লক্ষ অস্তিত্বহীন শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থ পাচার সন্দেহের তদন্তের জন্য একজন বরিষ্ঠ আধিকারিক নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। বেঞ্চ দায়িত্ব নির্ধারণ এবং দোষ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপের করার নির্দেশ দেয়। ভিজিল্যান্স ব্যুরোর সুপারিশে রাজ্যে সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

     

তার ২০১৯-এর আদেশে, হাইকোর্ট বলে যে, এফআইআর দায়েরের পরে, তদন্ত খুব ধীর। তারপর সঠিক, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং দ্রুত তদন্তের জন্য তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে সঁপে দেওয়া হয়।

     

এটি স্টেট ভিজিল্যান্সকে ২ নভেম্বর, ২০১৯-এ তার আদেশের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে বলেছিল এবং সিবিআইকে তিন মাসের মধ্যে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছিল।


একদিকে যখন নীট-ইউজি পেপার ফাঁস মামলায় সিবিআই বড় পদক্ষেপ করেছে, সেই আবহেই সামনে এল এই খবর। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে অবস্থিত স্কুলের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ এহসানুল হককে ৫ মে এনটিএ কর্তৃক পরিচালিত মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার নীট-ইউজি-এর জন্য হাজারিবাগের সিটি কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল। তিনি জানান, উপাধ্যক্ষ ইমতিয়াজ আলমকে এনটিএর তত্ত্বাবধায়ক ও ওয়েসিস স্কুলের কেন্দ্র সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়।


উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি হরিয়ানার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইনচার্জ নিযুক্ত হয়েছেন। এই সময়ে তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর হরিয়ানায় আবারও দরিদ্র, কৃষক, বঞ্চিত শ্রেণী ও সাধারণ মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসবে। তিনি দলীয় কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, যে কোনও প্রতিযোগিতা বা কঠিন কাজের সাফল্যে কার্যকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  


তিনি বলেন, দলের ওপর কর্মীদের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। প্রধান বলেন যে, 'বিজেপি হরিয়ানাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং রাজ্যের অগ্রগতি ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। এখন নির্বাচনের প্রায় ১০০ দিন বাকি রয়েছে এবং এই 'মিশন ১০০ দিন'-এ, কংগ্রেসের আমলে প্রচলিত মিথ্যা ও অপশাসনকে উন্মোচন করতে পার্টি কর্মীদের ঘরে ঘরে যেতে হবে।' সেই আবহেই সামনে এল সরকারি স্কুলে ভুয়ো ভর্তির অভিযোগ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad