জানুন কেন ডাক্তাররা ধূমপান ত্যাগ করতে বলেন
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৩ জুন:
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ কথা সবারই জানা,তবুও ধূমপায়ীরা তা গ্রাহ্য করেন না। ধূমপান একটি রোগ নয় বরং কঠিন ক্যানসার,হৃদরোগ,স্ট্রোক,ফুসফুসের রোগ,ডায়াবেটিস ও দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিসি (সিওপিডি) সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
এমনকি যক্ষ্মা ও চোখের রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর,ঠিক তেমনই ধূমপায়ীর আশেপাশে যারা থাকেন তারাও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন।
যেহেতু বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান,এ কারণে ডাক্তার যদি জানেন রোগী ধূমপায়ী সেক্ষেত্রে প্রথমেই তাকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে পিয়ারলেসলেস হাসপাতাল এবং বি কে রায় রিসার্চ সেন্টার লিমিটেডের অনকোলজি বিভাগের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর মধুচন্দ কর জানিয়েছেন,ঠিক কী কারণে এ পরামর্শ দেওয়া হয়-
প্রজনন স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে:
তামাক সেবন গর্ভাবস্থায় ও সন্তান ধারণের সমস্যা বাড়ায়। আবার গর্ভাবস্থায় তামাকের ব্যবহার শিশুর ফুসফুস ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
ফলে হঠাৎ গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। ধূমপান ত্যাগ করলে অকাল প্রসবের ঝুঁকি কমে আবার ভ্ৰণের বিকাশও ঘটে সঠিকভাবে।
শারীরিক সুস্থতা কমে যায়:
ধূমপান শারীরিক কার্যকলাপের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। যখন কেউ ধূমপান করে তখন হৃদপিন্ড,ফুসফুস ও পেশি কম অক্সিজেন পায়।
ফলে শারীরিক সুস্থতা কমে যায়। ধূমপান হাড় ও জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে,যা অস্টিওপোরোসিসের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
শরীরের প্রদাহ কমে:
স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি আরও উন্নত হবে,যদি আপনি ধূমপান ছেড়ে দেন। ধূমপানের কারণে শরীরে প্রদাহ হয়, ফলে স্বাদ ও গন্ধের রিসেপ্টর ফুলে যায়।
সক্রিয় কিংবা পরোক্ষ ধূমপান উভয়ই শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গগুলোকে প্রভাবিত করে। ফলে গন্ধশক্তি কমতে শুরু করে। তবে ধূমপান ছাড়ার পর তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
No comments:
Post a Comment