জানেন কী ভুল মানুষকে দেওয়া চু-মু-ই হয়ে ওঠে বিখ্যাত ?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৩ জুন:
বিশ্বের বিখ্যাত চুমুর দৃশ্যটি ফ্রেমবন্দি করেছিলেন আলোকচিত্রী আলফ্রেড আইজেটেন্ড। সময়টা ছিল ১৯৪৫ সালের ১৪আগস্ট।যুদ্ধ শেষে ফিরছেন সৈন্যরা। বন্দরে ক্যামেরা হাতে ঘুরছেন আলফ্রেড । ছবি তুলছেন সৈন্যদের ফিরে আসার মুহূর্ত। প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তগুলো।
ঠিক সেই সময় জাহাজ থেকে নেমে এলেন যুদ্ধ ফেরত এক নাবিক। সামনে তখন দাঁড়িয়ে এক সেবিকা। নাবিক দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করলেন সেই সেবিকাকে। সবার মতো আলোকচিত্রী আলফ্রেডও ভেবেছিলেন,যুদ্ধ শেষে বহুদিন পর প্রেমিক ফিরে এসে আদরে ভাসাচ্ছেন প্রেমিকাকে,ভালোবাসছেন।একটুও সময় নষ্ট করেননি ফ্রেমবন্দি করে ফেলেন সেই দৃশ্য। বিশ্বখ্যাত 'লাইফ ম্যাগাজিন'-এ সর্বপ্রথম এই ছবিটি প্রকাশিত হয়।
কিন্তু বহুদিন পর জানা যায়,এই ছবির মূল দুই চরিত্ররা আসলে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীস্ত্রী ছিলেন না।অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? আরও অবাক করা তথ্য হচ্ছে তারা একে অপরকে চিনতেনও না। তাহলে তারা চুমু খেয়েছিলেন কেন একে অপরকে?এমন প্রশ্ন আপনার মনেও ঘুরছে নিশ্চয়ই?
তবে দীর্ঘদিন পর জানা যায়,তারা ছিলেন জর্জ মেন্ডনসা ও গ্রিটা ফ্রিডম্যান। সেই বিখ্যাত চুমু খাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জর্জ ও গ্রিটা কেউ কাউকে চিনত না। ১৯৬০ সালে গ্রেটা জিমার ফ্রিডম্যান প্রথম ছবিটি দেখেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই চিনতে পেরেছিলেন যে তিনিই সাদা পোশাকে চুম্বন করা নারীটি তিনি নিজেই।
সেসময় গ্রিটা ফ্রিডম্যান ছিলেন মাত্র ২১ বছর বয়সী একজন তরুণী। একজন ডেন্টাল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে টাইমস স্কোয়ারের একটি অফিসে কর্মরত ছিলেন।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে এই খবর শুনেই তিনি টাইম স্কোয়ারের দিকে ছুটে যান। সেখানে তখন জনস্রোত।একজন আরেকজনকে আনন্দে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করে। তেমনই জর্জ মেন্ডনসা তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন।
আলোকচিত্রী আলফ্রেড আইজেটেন্ড পরে জানান,তিনি যখন ওই ছবিটি তোলেন তখন নাকি হাজার হাজার নারী-পুরুষ সেখানে একে অপরকে চুমু খাচ্ছিলেন। তবে তারা যে কেউ কাউকে চিনতেন না তা আসলে তিনি বুজতে পারেননি।
No comments:
Post a Comment