হাথরাস কাণ্ডে প্রথম এফআইআর! কিন্তু নেই ভোলে বাবার নাম
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ জুলাই : মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ফুলওয়াই গ্রামে সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১১৬ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি। এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান সেবাদার দেব প্রকাশ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কিন্তু পুলিশের এই এফআইআর নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ সৎসঙ্গ পরিচালনাকারী ভোলে বাবার নাম এতে নেই।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সৎসঙ্গ আয়োজনের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, তবে ৮০,০০০ ভক্তের অংশগ্রহণের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সৎসঙ্গে আড়াই লাখেরও বেশি ভক্ত এসেছিলেন। আয়োজকরা পুলিশের কাছ থেকে ভক্তের সংখ্যা গোপন করে। কিন্তু এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, কারণ সকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল এবং আড়াই লাখ মানুষের ভিড় পুলিশ কীভাবে দেখতে পেল না।
এই দুর্ঘটনা পুলিশ-প্রশাসনের ব্যবস্থাও ফাঁস করে দিয়েছে। পদপিষ্ট হওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়ে। মৃতদেহগুলো যখন হাথরাসের ট্রমা সেন্টারে পৌঁছাতে শুরু করে, তখন সেখানে কোনও ব্যবস্থা ছিল না। একজন ভক্ত জানান, তিনি যখন ট্রমা সেন্টারে যান, সেখানে মাত্র একজন জুনিয়র চিকিৎসক ও একজন ফার্মাসিস্ট উপস্থিত ছিলেন। সিএমও উপস্থিত ছিলেন না। দেড় ঘন্টা পর হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা আহতদের স্ট্রেচারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রেফার করা হয়।
দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সৎসঙ্গ শেষে ভোলে বাবা চলে গেলে ভক্তরা এগিয়ে আসেন তাঁর পায়ের ধুলো স্পর্শ করতে। এরপর শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। মানুষ একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকে। অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি জলা মাঠ ছিল, অনেক মানুষ এখানে আটকা পড়ে। কাদায় পড়ে যায় বহু মানুষ। অনেক মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে যখন পদপিষ্ট হচ্ছিল, সেবাদার ও আয়োজকরা নীরবে তা দেখছিলেন। কেউ সহযোগিতা করেনি। তারপর একে একে তারা সরে গেল। পুলিশ নিজেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং সিএম যোগী। দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। এ জন্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই দলে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকরাও রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment