চিকেনে থাকা এই জিনিসে হতে পারে ক্যান্সার, জেনে নিন কতটা বিপজ্জনক
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১১ জুলাই: আমাদের দেশে চিকেন প্রেমীদের অভাব নেই। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে সাবধান। আপনার প্রিয় এই মুরগি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। কয়েক বছর আগেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মুরগির মাংস খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, আরও অনেক বিপজ্জনক রোগের আশঙ্কা থাকে। ডব্লিউএইচও-ও এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক মুরগির মাংস খাওয়া কতটা বিপজ্জনক হতে পারে...
মুরগির মাংস খেলে কি ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে?
কিছুদিন আগে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা চালানো হয়। যেখানে ৩৭ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৪৭৫৪৮৮ জন ব্রিটিশ মানুষের মাংস খাওয়ার ওপর বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এই গবেষণায় দেখা গেছে, এঁদের মধ্যে ২৩,০০০ জনের বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার পাওয়া গেছে। যাঁরা বেশি পরিমাণে মুরগি খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
২০১৮ সালে, অস্ট্রেলিয়ান চিকেন মিট ফেডারেশন একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ায় মুরগি খাওয়া মানুষ এক বছরে ৪৭.৭ কেজি মুরগি খেয়ে নেয়। যার পরে সিডনির ডাক্তার পেনি অ্যাডামস অক্সফোর্ডের গবেষণাকে খণ্ডন করে বলেন, হতে পারে মুরগির মাংস খাওয়ার পর মানুষ অ্যালকোহল, সিগারেটের মতো বেশি জিনিস বেশি খান, যা ক্যান্সার বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তবে, মুরগি খাওয়ার সঙ্গে ক্যান্সারের মতো রোগের যোগসূত্র রয়েছে। বিশেষ করে বিপজ্জনক হল মেলানোমা, নন-হজকিন লিম্ফোমা এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ভালো খাবারের মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো যায়।
মুরগির মাংসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান
কয়েক বছর আগে, আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও নিশ্চিত করেছিল যে, মুরগির মধ্যে ক্যান্সারের জন্য দায়ী উপাদান রয়েছে। এর আগেও একাধিক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আর্সেনিক একটি আলোক সংবেদনশীল অণু, যা শরীরের ভিতরে ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি করে।
এতে ক্যান্সার কোষের অটোমিউটেশন শুরু হয়ে যায়। এরপর শরীরের অভ্যন্তরে চারগুণ বেশি ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে থাকে। হোলির রং এবং বুনো ঘাসেও এই উপাদান পাওয়া যায়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি বেশ কয়েকটি উদাহরণ উদ্ধৃত করেছে, যেখানে আর্সেনিককে উচ্চ মাত্রার ক্যান্সারের কারণ হিসাবে পাওয়া গেছে।
No comments:
Post a Comment