"অগ্নিবীর, আদানি-আম্বানি এবং সংখ্যালঘু", সংসদের কার্যপ্রণালী থেকে মুছে ফেলা হল রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ জুলাই : সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনা চলাকালীন লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি সংসদে ৯০ মিনিটের ভাষণ দেন এবং হিন্দু ধর্ম, অগ্নিবীর সহ ২০টি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতার সময় বিরোধী দলের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এদিকে, লোকসভায় দেওয়া ভাষণ থেকে রাহুল গান্ধীর কিছু বক্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর যে বিবৃতিতে তিনি বিজেপিকে সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায্য আচরণের অভিযোগ করেছিলেন তাও লোকসভার আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এটি অগ্নিবীর সেনা, পিএমওর পরিকল্পনা এবং নিজেদেরকে হিন্দু বলে যারা হিংসাত্মক বলে বিবৃতিটিও রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
সরকারকে কোণঠাসা করতে রাহুল গান্ধী ভগবান শিব, গুরু নানক এবং যীশু খ্রিস্টের ছবি এনেছিলেন। ভাষণ চলাকালীন রাহুল গান্ধী ভগবান শিবের ছবি দেখিয়ে বলেন যে, "ভগবান শিব কাউকে ভয় করতে বা ভয় দেখাতে শেখান না।" রাহুল গান্ধী ২০টি বিষয়ে সরকারকে কোণঠাসা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে হিন্দু, অগ্নিবীর, কৃষক, মণিপুর, এনইইটি, বেকারত্ব, বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি, এমএসপি, হিংসা, ভয়, ধর্ম, অযোধ্যা, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকার।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং সহ প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংসদে রাহুল গান্ধী হিন্দু বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই নিজের আসন থেকে উঠে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে আপত্তি জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "হিন্দু সমাজকে হিংস্র বলা ভুল।" এর পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন যে এটি কোটি হিন্দুদের অপমান। সহিংসতাকে কোনও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা ভুল। রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment