"মরণ নাচন চলছে, নরক ছেড়ে এখানে সব শয়তান এসেছে", রাজ্যর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যপাল বোসের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 2 July 2024

"মরণ নাচন চলছে, নরক ছেড়ে এখানে সব শয়তান এসেছে", রাজ্যর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যপাল বোসের

 


"মরণ নাচন চলছে, নরক ছেড়ে এখানে সব শয়তান এসেছে", রাজ্যর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যপাল বোসের



নিজস্ব প্রতিবেদন, ০২ জুলাই, কলকাতা :  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিল্লী থেকে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।  এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, "বাংলার রাজপথে রক্তপাত হচ্ছে। বাংলার গ্রামে গ্রামে চলছে মরণ নাচন।"



রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, "এখানে কি কোনও পুলিশ আছে?  এই অস্থিরতা বন্ধ করা কি তার দায়িত্ব নয়?" রাজ্যপাল বলেন, "নরক খালি হয়ে গেছে, এখানে সব শয়তান এসেছে।  এমনকি এর চেয়ে জঙ্গল ভালো।  শুধু রোমাঞ্চের জন্য বনের কোনও প্রাণী কাউকে খুন করে না।  এখানে শুধু রোমাঞ্চের জন্য মানুষ খুন করছে।  এই কাজ করতে পারে না।  এর জন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।"



 তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।  রাজ্যপাল যখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, শান্তনু সেন পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, "কোন অধিকারে আপনি বিজেপিকে প্রচার করার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে অপমান করলেন?  বাংলার মানুষকে এর জবাব দিতে হবে।"


 উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনা গোটা রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।  সেই ঘটনার প্রভাব পৌঁছেছে দিল্লীর রাজনীতিতেও।  রাজ্যপাল বোস বর্তমানে দিল্লীতে রয়েছেন।



 রাজ্যপাল বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় একটি রিপোর্ট চেয়েছেন এবং তিনি আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় যাবেন যেখানে রাজ্যপাল বর্তমানে নতুন দিল্লীতে রয়েছেন।  রাজভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সেখান থেকে ফিরে এসে দিল্লীতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে পারেন।



 শুক্রবার ঘটনাটির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে জনরোষের পরে পুলিশ রবিবার একটি মামলা দায়ের করে।  ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে দম্পতিকে মারতে দেখা গেছে তার নাম তজমুল ওরফে জেসিবি।  তিনি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে দাবী করা হয়েছে।  তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিত ছেলে ও মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে যার কারণে ক্যাঙ্গারু কোর্টের (অবৈধ আদালত) নির্দেশে তাদের প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছিল।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad