আসামে বৃষ্টির প্রকোপ! ৭৮ জনের মৃত্যু, বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন রাহুল গান্ধী
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জুলাই: ভয়াবহ বন্যার কবলে আসাম। আসামের ২৯টি জেলায় প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪ লক্ষ মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সহ রাজ্য জুড়ে অনেক বড় নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই সবের মধ্যেই সোমবার আসামের বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী আজ মণিপুর সফরে যাচ্ছেন। মণিপুর যাওয়ার সময় আসামের কাছাড় জেলার শিলচরের কুম্ভীগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছবেন রাহুল। এখান থেকে রাহুল লখিপুরের বন্যা ত্রাণ শিবিরে যাবেন এবং সেখানকার মানুষের অবস্থার কথা জানবেন। এখান থেকে রাহুল পৌঁছে যাবেন মণিপুরের জিরিবামে।
আসামে বন্যার কারণে পরিস্থিতি এখনও গুরুতর এবং প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য জুড়ে ব্রহ্মপুত্র সহ অনেক বড় নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের কারণে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) বুলেটিনে বলা হয়েছে যে, ধুবরি এবং নলবাড়িতে দুটি করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, কাছাড়, গোয়ালপাড়া, ধেমাজি এবং শিবসাগরে একটি করে মৃত্যু হয়েছে। ধুবড়িতে সর্বাধিক ৭৫৪৭৯১ জন প্রভাবিত হয়েছেন। রাজ্যের ২৬৯টি ত্রাণ শিবিরে ৫৩,৬৮৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদ নেমাটিঘাট, তেজপুর ও ধুবড়িতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াংয়ের বুরহিডিহিং নদী, শিবসাগরের দিখাউ, নাংলামুরাঘাটের দিসাং, নুমালিগড়ের ধানসিরি, ধরমাতুলের কপিলি, বারপেটাতে বেকি, গোলকগঞ্জের সংকোশ, বিপি ঘাটের বরাক এবং করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাহুল গান্ধী গুজরাটের মরবি দুর্ঘটনা এবং রাজকোট গেমিং জোন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আহমেদাবাদ পৌঁছেছিলেন। রাহুল সম্প্রতি হাথরাস কাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন। হাথরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
No comments:
Post a Comment