প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারি : ইতিবাচক মনোভাব ও অসম্ভব মনের জোর, এই দুয়ের উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকের শ্য়ামার বৌদিদি, বাস্তবে অভিনেত্রী সুস্মিতা চক্রবর্তী।
বাস্তবটা বড্ড কঠিন । পর্দার সামনে যিনি জাঁদরেল খলনায়িকা, ক্যামেরা সরলে কখনও তিনি লড়াকু এক নারী, অসহায় এক মা, দমে না যাওয়া এক অভিনেত্রী । পর্দায় কখনও ‘কৃষ্ণকলি’র পার্বতী, কখনও ‘অপরাজিতা অপু’র দিৎসা, আবার বাড়িতে সকলের আদরের ‘টুবলু’ । তিনি সুস্মিতা রায় চক্রবর্তী। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও হয়েও জেদ ছিল, কলকাতার বুকে নিজের রোজগারে বাড়ি-গাড়ি সব কিনবেন ।
মাত্র ২৫০ টাকা নিয়ে সুন্দরবন থেকে কলকাতায় এসে লড়াই, কঠোর পরিশ্রমে আজ সফল অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়। অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়, টেলিভিশনের পর্দায় যাকে আমরা কৃষ্ণকলি, অপরাজিতা অপু, বৌমা একঘর, পঞ্চমী এর মতন একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখেছি। তবে বেশিরভাগ নেগেটিভ চরিত্রেই দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর।
এই মুহূর্তে পর্দায় একজন সফল অভিনেত্রী সে। কিন্তু জানেন কি তার এই সফলতার পেছনে লুকিয়ে আছে কষ্টকর জীবন সংগ্রামের গল্প। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা জীবনের সমস্ত প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে পরিশ্রম করে নিজের চেষ্টায় সফল হয়েছেন। আর সেই তালিকাতে অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের মত মানুষও পরে।
সুন্দরবনের মেয়ে হয়েও অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল সুস্মিতা। তবে তার ইচ্ছাকে মরযাদা দেয়নি কেউ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একসময় মাত্র ২৫০ টাকা নিয়ে সুন্দরবন থেকে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। দিনের পর দিন শিয়ালদা স্টেশনের পাশে তাবু খাঁটিয়ে থেকেছেন। এরপর মেসবাড়ি ভাড়া নিয়েও থেকেছেন।
সেখান থেকে আজ নিজের পরিশ্রমে সফল অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়। বর্তমানে অভিনেত্রীর আর একটা পরিচয় হল তিনি জনপ্রিয় ইউটিবার তথা অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর নিজের বৌদি।
No comments:
Post a Comment