প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারি: রবিবার দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। আর এদিনই লালসার শিকার স্কুল পড়ুয়া। সকালে পতাকা উত্তোলনের জন্য স্কুলে গিয়েছিল, বাড়ি ফেরার পথে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুর জেলার গিধা থানা এলাকার একটি গ্রামে। অভিযুক্ত মধ্যবয়সী একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবী করেন তাঁরা।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তারা। খবর পাওয়া মাত্রই গিধা থানার ইনচার্জ উমুস সালমা পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার খবর নেন। এরপরই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার অভিযুক্তের নাম অজয় সিং (৬০), নির্যাতিতার গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত সিদ্ধেশ্বর সিংয়ের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন। নির্যাতিতা জানায়, তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। অন্যদিকে নির্যাতিতার বয়স ১০ বছর এবং সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। এরপর আড়া সদর হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে পতাকা উত্তোলনে অংশ নিতে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্ত অজয় সিং তাকে জোর করে কোলে তুলে গ্রামের নির্জন এলাকায় একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেঁধে মারধর করে এবং ধর্ষণ করে। এরপরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর নির্যাতিতা ছাত্রী বাড়িতে পৌঁছে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানায় খবর দেয়।
নির্যাতিতার কথায়, 'প্রজাতন্ত্র দিবসে আমি আমার স্কুলে গিয়েছিলাম। ফেরার সময় বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে গ্রামের বাসিন্দা অজয় সিং পেছন থেকে এসে আমাকে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার করতে থাকি, ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। নোংরা কাজ করার পর সে আমাকে আবার মারধর করে এবং বলে যে, আমি ঘটনাটি কাউকে জানালে সে আমাকে মেরে ফেলবে। এর পর আমি কোনও মতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাড়িতে পৌঁছে মাকে ঘটনা খুলে বলি।'
এই বিষয়ে সদরের এসডিপিও রঞ্জিত কুমার সিং বলেন, নির্যাতিতার গ্রামের এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যার পর নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য আড়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment